কাজী রুনালায়লা খানম

কাজী রুনালায়লা খানম
মাঠের ঈশ্বর 

কাদামাটি মেখেছো  দুহাতে 
জল হাওয়া, শস্য বীজ সার ...
অন্তহীন ধানের স্বপ্ন বুনতে বুনতে 
হয়ে ওঠো মাঠের ঈশ্বর।  

আগুন পায়ে হেঁটে পার হও
কোমরছুঁই নিদাঘ যাপন  
লাঙলের ফলায় লিখে যাও
রক্ত আর  ঘামের  বারোমাস্যা। 

রাতদিন এক করে শিরাওঠা হাতে 
বুনে যাও স্বপ্নবীজ সরল বিশ্বাসে।
প্রতিবার ভাঙনের শেষে।

নতুন জোয়ার আসে, নতুন পলি
আদতে পাল্টায় না কিছুই
সবই চেনাছক, পুরনো আঁশটে এঁদোগলি। 

উন্নয়ন উড়ছে হাওয়ায়,কথার ফানুস
মহাজনী জাহাজ ভেড়ে সঠিক বন্দরে 
আদার ব্যাপারী তুমি হাতে হাতে
বিকিয়ে যাও মরিচীকা দরে। 

ক্ষয়াটে চোখে চিক চিক করে তবু
তেল- নুন -লাকড়ি আর 
দিনশেষে সানকি ভরা জুঁইফুলি ভাত। 

পুজো এলে ছেলের জন্য সস্তার 
খেলনা রেলগাড়ি 
কতোদিন ওর মা কেও তো হয়নি দেয়া
টিয়ারঙ লালপেড়ে শাড়ি।

কেটে গেলে ঘুমঘোর পষ্ট ভোরে
এইসব স্বপ্নের পাশে 
হেমন্ত বিছিয়ে যায় ঝরাপাতা স্তুপ।

দুহাতে সরাতে গিয়ে দেখি  
খরখরে চোখের ভূখন্ডে জমে  আছে শোক। 
আদ্যন্ত রেখেছো লিখে ধূধূ বিজন মাঠে 
আগুন হরফে পুণ্যশ্লোক। 

'অঙ্গার'

জ্বলে যেতে যেতে যেটুকু জল          
অবশেষ, অঙ্গার 
তাই দিয়ে মোহের কাজল হয়না বলে
    ইতিহাস খুঁড়ে আনি 'প্রস্তাবনা'।

গণতন্ত্রের ছেঁড়া ফাটা গতরে বাকলও অমিল
যদিও রাজবস্ত্রে সূক্ষ্মতার কারুকাজ
হাভাতে থালার ফুটো বড় হতে থাকে  .....
সুইস ব্যাঙ্কও ফুলে ওঠে সরল  পাটিগণিতে। 
এম এ পাশ, পি এইচ ডির 
শূন্য চোখের ব্যাস বৃত্ত জ্যা 

সভ্যতার বলাৎকার দেখি, আর অঙ্গার হই,
ফুটো থালায়, ছেঁড়া যোনিতে, 
পোকায় কাটা শংসাপত্র 
আর 
অনদিশা চোখের কোটরে 
অঙ্গারেই লিখে রাখি আগামীর ইস্তাহার।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.