অদ্ভুত এক আঁধার এসেছে এ পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা ;
যাদের হৃদয়ে কোন প্রেম নেই ___প্রীতি নেই __করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া। " কবি জীবনানন্দের এই পংক্তিগুলি আজকের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক, এ কথা সহজেই অনুমেয়। স্বাধীনতার সত্তর বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু বয়সে প্রৌঢ় স্বাধীনতা আজও নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে শিখলোনা। আমাদের প্রিয় ভূখন্ডের আমআদমীর কাছে স্বাধীনতা খায় না মাথায় মাখে আজও তা সুস্পষ্ট নয়। মুষ্টিমেয় একশ্রেণির মানুষের কাছেই তা অর্থবহ। জনগণের দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থায় জনগণের জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি, আর তা পূরণের পথ দুটি মিলতে পারেনি আজও। সমান্তরাল দুটি ধারা হয়ে আজও বহমান। দিন যতো এগিয়েছে, ধারাদুটির মাঝখানের ব্যবধান নৈরাশ্যজনকভাবে বেড়েছে অনেক অনেক বেশি।
সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সমস্ত ক্ষেত্রে নেমে এসেছে এক প্রগাঢ় অন্ধকার। স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে এতোটা অবনমন বোধহয় আগে ঘটেনি কখনো।
কোন দেশ কিংবা রাজ্যের উন্নয়ন তথা উৎকর্ষতার মূল ভিত্তি হলো সেই দেশ, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। একটি সুসংহত শিক্ষাব্যবস্থাই একটি উন্নত জাতিগঠনের অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের অন্তঃসারশূন্য জীবনবিচ্ছিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা, এর উদ্দেশ্যহীন যান্ত্রিকতা ব্যক্তি তথা সমাজজীবনের কোন উৎকর্ষসাধনেই যে সক্ষম নয়, তা আমরা বুঝতে পারছি প্রতিপদে। আজও আমরা "শিক্ষাকে বহন করিলাম, বাহন করিলাম না" (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)। যে পাঠক্রমের সাথে জীবনের যোগ নেই, সে পাঠক্রম আর যাই করুক একজন সৎ দায়িত্বশীল, সচেতন নাগরিক তৈরী করতে পারে না। এছাড়াও নৈরাজ্য, বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পকে পরিকাঠামোহীনভাবে শিক্ষায়তনের সাথে জুড়ে দিয়ে একদিকে যেমন শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে, তেমনই প্রকল্পগুলিও যথাযথ সফল হচ্ছে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। তার ওপর রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। এছাড়াও আরো একটি জ্বলন্ত সমস্যাকে এড়িয়ে যেতে পারিনা আমরা। বর্তমানে শিক্ষকতা আর কোন মহান ব্রত নয়, আর পাঁচটা চাকরীর মতো রোজগারের মাধ্যম বিশেষ। মানুষ গড়ার কারিগর (একশ্রেণির শিক্ষকের কাছে) "শব্দবন্ধটা তাদের কাছে শিক্ষাবিজ্ঞানের পাতায় কালো অক্ষরের ফসিল বই নয়।
স্বাস্থ্যব্যবস্থাও তথৈবচ। 'রিজার্ভেশন' আর 'প্রাইভেটাইজেশন' এর সুবাদে অনেক নিম্নমেধার মানুষ চিকিৎসার মতো পেশায় আসছে, ফল যা হবার তাই হচ্ছে। জীবন বাঁচানো নয়, ডিগ্রী অর্জনের জন্য যে 'ইনভেষ্টমেন্ট' করেছিল সুদেমূলে তা তুলে নেবার জন্য মুখিয়ে থাকে তারা। সরকারী চিকিৎসালয় গুলিতে অধিকাংশ চিকিৎসকের আসন খালি। ডাক্তার যদিও বা পাওয়া গেল, পরিকাঠামো তলানিতে। অথচ ব্যঙের ছাতার মতো প্রাইভেট নার্সিং হোম গজিয়ে উঠছে যত্রতত্র। ফলে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক পয়সাওয়ালা শ্রেণি। আর আমজনতা যে তিমিরে সেই তিমিরে। তার ওপর রয়েছে আরো নানা গল্প। জাল ওষুধের কারবারী, পরীক্ষাগারগুলির সাথে ডাক্তারদের গোপন আঁতাত, কিডনি তথা মূল্যবান অঙ্গের পাচার, শিশুপাচার,ভ্রূণহত্যার মতো নারকীয় কাজে যুক্ত নিম্নস্তরের স্বাস্থ্যকর্মী থেকে ডাক্তার পর্যন্ত। এমনকি হাসপাতালে রোগীর খাবার থেকে ওষুধ বিছানা পত্র সবই বিকিয়ে যায় পেছন দরজা দিয়ে। অর্থাৎ জীবনদায়ী পরিষেবা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে "সোনার পাথরবাটি" হয়ে দাঁড়ায় একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে।
শিল্প সংস্কৃতি কোন একটি স্থানের মানুষের মানসিক উৎকর্ষতা, চিন্তন মননশীলতা, মেধা ও জীবনবোধের দ্যোতক। কোন সমাজ চিন্তাচেতনার দিক থেকে কতোটা অগ্রগামী তা সেখানকার সংস্কৃতিচর্চা থেকে অনুধাবন করা যায়। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশ তথা রাজ্যের শিল্পজগত আজ দিশাহীন, জীবনবোধহীন অন্ধকারে নিমজ্জমান। আমি বলছিনা যে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা নিঃশেষ হয়েছে। আছে, মুষ্টিমেয় কবি সাহিত্যিক, শিল্পী আজও সত্যের, সুন্দরের আরাধনা করে চলেছেন মগ্ন ঈশ্বরের মতো। তবে সংখ্যাটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রচারসর্বস্ব, ভোগবাদী মিডিয়ামুখী কবি সাহিত্যিক শিল্পীদেরই এখন রমরমা বাজার। নিম্নমানের স্থুলরুচির জীবনবোধহীন অন্ধ সংস্কৃতিকে মুলধন করে মুনাফা লুটছে সিরিয়াল ব্যবসায়ী। আমরাও এইসব ভোগসর্বস্ব, লাস্যময় অগভীর বিনোদনে প্রলুব্ধ হচ্ছি।
আমাদের সামনে নেই কোন মহৎ জীবনাদর্শ। ক্রমশ একটা আত্মকেন্দ্রিক আইসোলেটেড জীবনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে গোটা সমাজ। বিদেশি অনুকরণে "হাম দো হমারা দো", এখন তো "হমারা এক" পরিবারকাঠামোকে মসৃন করতে গিয়ে জলাঞ্জলি দিচ্ছি মানবিক মূল্যবোধ। মা বাবা বাড়তি এখন সংসারে। ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে বৃদ্ধাশ্রম। আসলে আমরা এক ভয়ঙ্কর স্বার্থপর প্রজন্ম। আমরা বাবা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে সন্তানের কাছে আশা করছি দায়িত্বকর্তব্যবোধ। আমরা নিজে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছি। অসাধু যাপনে মগ্ন থাকছি, আর আমাদের সন্তানের সামনে তুলে ধরছি এক আত্মসর্বস্ব জীবনের যাপনচিত্র। প্রতি মুহূর্তে অসহিষ্ণুতা অসুস্থ প্রতিযোগিতার চর্চা করছি, পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছি আর আশা করছি সমাজটা এমনি এমনি বদলে যাবে! সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছি, আদর্শের বুলি কপচাচ্ছি আর কাজের বেলায় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি পাঁকাল মাছের মতো। আমাদের মুখ আর মুখোশের এতো পরিবর্তনে আমরা নিজেরাই নিজেদের চিনতে পারি কিনা, একেকসময় সেটাও বড় আশ্চর্যের লাগে। মানুষে মানুষে দূরত্ব স্বর্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতায় আমরা প্রত্যেকেই এক একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক ও গবেষক রফিক আহমেদের একটি উক্তি -
"সবাই কেমন যেন দূরের মানুষ হয়ে যাচ্ছে! স্বার্থপরতায় সবাই যেন এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ! মায়া মমতা ভালবাসা কর্পুরের মতো উবে গেছে। সম্পর্কগুলোতে প্রাণ নেই,বড় বেশি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে! এই বিভাজন ও দূরত্ব কী সভ্যতার বিকাশ নাকি সংকোচন?" (রফিক আহমেদ)
আর এসবকিছু ছাপিয়ে 'ধর্ম' নামক ভাইরাস আমাদের সমাজদেহের শিরাউপশিরায় পর্যন্ত পচন ধরিয়ে দিচ্ছে। অতি সম্প্রতি যেন এই সংক্রমণ আরো ভয়াবহ, আরো দুরারোগ্য হয়ে দেখা দিয়েছে। একবিংশ শতকের তৃতীয় দশকে এসে আমরা বিজ্ঞান নয়, সুস্থ সংস্কৃতি নয়, কলা নয়, শিল্প নয় আমরা ধার্মিক (?) হওয়ার সাধনায় মেতেছি। মানুষ হওয়ার সাধনা নয়, আমরা 'হিন্দু' হওয়ার, 'মুসলিম' হওয়ার, 'খ্রিষ্টান' হওয়ার, 'বৌদ্ধ' হওয়ার, 'ইশায়ী' হওয়ার, সাধনা করছি। "আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ তাই, তুমি এখানে ব্রাত্য, অতএব তুমি মর।" এই অন্ধবিশ্বাসে আমরা পরস্পরকে হনন করছি, ভাইয়ের রক্তে হাত রাঙিয়ে তুলছি। আল্লা ভগবানের এই দ্বৈরথ দেখে, দাড়ি টিকিতে নিজের অস্তিত্ব খোঁজা দেখে, আমাদের এইসব হত্যালীলা দেখে সভ্যতা লজ্জায় মুখ ঢাকছে।
আর এ সমস্ত কিছুকে সুচতুরভাবে মুলধন করে, তুরুপের তাস করে নীতিভ্রষ্ট রাজনীতি এক ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে। আমরা বুঝতে পারছি সবই। কিন্তু অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো বুজে আছি চোখ। আমাদের সমস্ত অবনমনের হেতু রাজনীতির চতুর কৌশল জেনেও অধিকাংশ শিক্ষিত মানুষ আজ দলদাস। শুধুমাত্র নিজের আখেরটুকু গুছিয়ে নিতেই কী এই নির্বাক দর্শন কিংবা পাশ কাটানোর নির্লিপ্তি? হয়তো তাই, হয়তো বা তা পূর্ণসত্য নয়। প্রতিবাদের কন্ঠ এখানে সবাক হলেই বন্ধ করে দেয়া হয় বন্দুকের নলে, জেলখানার নিরন্ধ্র সেলে। এখানে সত্য উচ্চারণের পুরষ্কার মৃত্যু। এম এম কালবুর্গী, নরেন্দ্র ধবলকর কিংবা গৌরী লঙ্কেশ, আমরা কিন্তু ভুলিনি কাউকেও। রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, রিগিং, ইভিএম উধাও, থেকে বিরোধী পক্ষের গলার নলিকাটা সবেতেই এখন গা সওয়া আমাদের। ভয়ে কিংবা আনুগত্যে। আসলে আমরা এখন নামেই মেরুদন্ডী। আমাদের শিরদাঁড়াটা বেঁকে গেছে বহুদিন । এই অসুখী অন্ধ সময়ে আমরা অধিকাংশই 'কানার দ্যাশে ফলিপরা রাজা।"
আমরা পরিণতিহীন অন্ধ মোহে ছুটে চলেছি আমাদেরই হাতে সৃজিত এক ভয়ঙ্কর কালবেলার দিকে। কথায় আছে "আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাই"। যেখানে বিগত প্রজন্ম আর বর্তমান প্রজন্ম নিজেই নীতিহীন, মূল্যবোধহীন, মনুষ্যত্বহীন ভোগসর্বস্ব জীবনের প্রতি আসক্ত, সেখানে আগামীর কাছে কোন ইতিবাচক জীবনদৃষ্টিভঙ্গী প্রত্যাশা করা নিতান্তই বালখিল্য। আর এতো নৈরাশ্যের মধ্যে শীর্ষ আদালতের কিছু ভূমিকাও আমাদের চিন্তিত করেছে। যেদেশে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মানুষ অপুষ্ঠি, অশিক্ষা, চিকিৎসাহীনতা এবং আরো বহুবিধ সমস্যা আর সংকটে জর্জরিত, আর একশ্রেণির অসাধু বেনিয়া আর রাজনীতিক মিলে দেশের সম্পদ লুটেপুটে বিদেশি ব্যাঙ্কে জমিয়ে তুলছে অর্থের পাহাড়, সে দেশে 'অর্থসমস্যা মেটানোর কোন উদ্যোগ না নিয়ে 'প্রকাশ্যে চুম্বন ' আর 'পরকীয়া'র বৈধতা, 'তিনতালাকের' ফতোয়া জারির মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো আমজনতার কাছে? নারী নিরাপত্তা যেখানে সুনিশ্চিত করাটা সবচেয়ে জরুরী, সেখানে নারী স্বাধীনতার নামে 'পরকীয়া বৈধতা' কতোখানি সুফলদায়ী হবে, সে প্রশ্ন না হয় সময়ের হাতেই ছেড়ে দিলাম। প্রসঙ্গত, আমরা বিদেশি সংস্কৃতির অন্ধ অনুসারী, একথা আরো একবার প্রমাণ করলো এই বৈধতার শীলমোহর। দেশের আরো অনেক জটিল সমস্যা আছে, সে বিষয়ে শীর্ষ আদালতের তৎপরতা কিন্তু সেভাবে দেখা যায়না। এও কী তবে সুকৌশলে ভ্রষ্ট রাজনীতিরই প্রভাব? প্রশ্নটা কিন্তু সচেতন প্রজ্ঞায় উঁকি দিলে দোষ দেয়া যায়না।
বর্তমান সমাজশরীরে আরো এক মারাত্মক ক্ষত হলো, কর্মসংস্থানের চরম আকাল। শিক্ষিত, প্রজন্ম এক ভয়ঙ্কর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে। শাসকের দৃষ্টি কেবল ভোটব্যাঙ্কে আবদ্ধ। কি কেন্দ্রে, কী রাজ্যে। এখানে নাগরিকদের আত্মপ্রতিষ্ঠ করার পরিবর্তে মেরুদন্ডহীন ভিক্ষাজীবীতে পরিণত করার নির্লজ্জ প্রয়াস চলছে সর্বস্তরে। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নতুন শিল্প এখানে হয়না, পুরনো শিল্প মুখ থুবড়ে পরে আছে। উন্নয়নের নামে কতিপয় নেতার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বেড়ে যায়। আমরা সাধারণ এক হতাশা থেকে আরেক হতাশার পথে ধুঁকতে ধুঁকতে মশা মাছির জীবন মতো জীবন সাঙ্গ করি।
প্রশ্ন তবু জাগে, এখনো উজাগর চেতনায় অসুখী সময়ের আঁচড় লেগে প্রশ্নের বুদবুদ ওঠে। সমাধানের স্বপ্ন দেখতে চায় চিরদিনের ছন্নছাড়া কোন একগুঁয়ে। এখনো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় "অসির চেয়ে মসী শক্তিশালী" সমাজের যারা শিক্ষক, যারা কবি, যারা শিল্পী, যারা প্রকৃত নেতা তাদের হাত ধরে আসবে সত্য শিব সুন্দর। শিল্পসাধনার মধ্য দিয়ে প্রকৃত জীবনসাধনা করতে হবে। আমরা দায় এড়াতে পারিনা কোনভাবেই। আত্ম সকলের, ক্ষুদ্র নয়, বৃহতের সাধনা, মহতের সাধনা করতে হবে সম্মিলিতভাবে। বাংলা তথা ভারতীয় ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে ব্যক্তিস্বার্থ নয় সামাজিক স্বার্থকে দিতে হবে অগ্রগণ্যতা। তাহলেই এ অন্ধকার দশা হতে ঘটবে আলোয় উত্তরণ। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা সময় কিন্তু ক্ষমা করেনি হিটলারকেও। সময়ই সেরা মাধ্যম মূল্যায়নের ।
anishakrk333@gmail.com
সুচিন্তিত মতামত দিন