নিকানো উঠোনের একপাশে তুলসী মঞ্চ
অন্য পাশে শ্রীফলবৃক্ষের নীচে অতিবৃদ্ধ পিতামহের ধ্যানের আসন এক সুকৃষ্নপাথর।
আমার ঠাকুমা, মা,জেঠিমা
সন্ধ্যায় যখন মাথায় আঁচল নিয়ে প্রণত হতেন তখন গল্পে শোনা
দেবশিশু হয়ে দেবশিশুদের সঙ্গে যে বেরিয়ে পড়ত নক্ষত্র খচিত আকাশে
ফুল ঝুরির মতো তারা খসা দেখতে
তাকে আর কোথাও পাবে না।সেই জগত সহ সেই শিশু হারিয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গ -২
সে মুখ ফিরিয়ে নিল মাটি থেকে
বীজের ভিতর ফিরে গেল স্বপ্ন ও ইচ্ছার প্রবাহ।
সে মুখ ফিরিয়ে নিল আকাশ থেকে
অনন্ত নক্ষত্র বীথির ভিতর হারিয়ে গেল
অশ্রুভরা চোখের মিনতি।
সে জলের থেকেও যখন মুখ ফিরিয়ে নিল
সাত আগুন তাকে আলিঙ্গন করতে এগিয়ে এল।পুড়তে পুড়তে সে বুঝল
যে বন্ধনে এত মধু ছিল তা মায়া, যে মুক্তি
তার অপেক্ষায় তাও অর্থ হীন।
প্রসঙ্গ -৩
ঘরের ভিতর থেকে কথা বলছে যে
সে ঘরের কেউ না
পথে পথে যে কাটিয়ে দিতে চায়
দিন গুলি,রাতগুলি পথের কাছে
সে একটা প্রসঙ্গমাত্র
ঘাসে, পাতায় জমে থাকা শিশিরের অধিক
সে কিছু নয় -একথা শোনার পর মন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল,
সে নিজেকে চার পাশে বিস্তার দিতে দিতে ব্রম্মান্ডময় হয়ে উঠল।
তাকে ধরতে গেলে পাওয়া যায় না,
ছেড়ে দিলে কাছে কাছে থাকে।
সুচিন্তিত মতামত দিন