⤺স্বাধীনতা দিবস ও আমরা
একটি বর্ষাকালীন ছুটির দিন
সকালে টেলিভিশনে চোখ রাখাটা
বাধ্যতামূলক হলে
বিকেলে বিনোদনের মুখ অনিবার্যের রাস্তায় হাঁটে
মাঝে মুখরোচক খাবার টেবিল
চাহিদায় দুটি অস্থির হাত পরাধীনতার
ফ্যান গেলে চলে অনন্তকাল
আমরা খেয়াল করি না
ঘেঁষাঘেঁষি ছাদে আবদারের কাটাছেঁড়ায়
তিরঙ্গার ফাঁস খুলে গড়িয়ে পড়ে
কালচে বাসি রক্ত সম্ভবত ফুলের
দুটি শীর্ণ শিশুর আঙ্গুলের প্রত্যয়ের আড়ালে
জেগে থাকে ছেঁড়া কাগজের অশোকচক্র
আমরা খেয়াল করি না
বাতাসে ক্লিশে দেশাত্মবোধক
যেন অন্তর্জলিযাত্রার আগে শেষ
স্মৃতিচারণ
শশ্মানগন্ধী কাকের ঠোঁটে
বিপ্লবী শুভেচ্ছার ট্যাবু
স্বার্থের ক্যানভাসে লাবডুব পতাকা শরীর
আমরা খেয়াল করিনা
একাকী নিঃসঙ্গতার চোখ
গ্রিলের ফাঁক দিয়ে রক্ত মাপে মেপে যায়
আলো আঁধারের গায়ে দৃষ্টিঘর আঁকে
যেখানে মেঠো রাস্তায় সাইকেলের ঘন্টা
মোবাইলের রিং টোন হয়ে যায়
কখনো মাঠের সবুজঘাস
দামাল রক্তের চোখে আন্তর্জালিক বিনোদন
আমরা খেয়াল করিনা
দৃষ্টি কেটে কেটে লোহারগ্রিল যখন
একটা ফাঁকা রাস্তা ধরে হেঁটে যায়
দ্যাখে উদ্বেগের সাদা শাড়ি আঁচলে বাঁধা
মাঙ্গলিক লাল সূতো
যাতে সুদূর বিপ্লবের কাজলের টিপ
জেগে আছে আজও
আমরা খেয়াল করি না
কতটা গাঢ় ছিল সেই প্রেম
যাতে কালশিটে শোকপৃষ্ঠা থেকে
ছিঁড়ে নেওয়া যায় গোটা একটা দেশ
আরো একটা বিপ্লব কেনা গেলে হয়ত
আলোর বারুদ ক্লান্ত চোখে এঁকে দেবে
তেজস্ক্রিয়তার জয়টিকা
![]() |
মন্দিরা ঘোষ |
সুচিন্তিত মতামত দিন