বিদিশা সরকার

শীতের ডাইরি
বহিরাগত বলতে কিছু পাখির ডাক। আমার ঘুম ভাঙার সকালে ভারি পর্দার ভিতর দিয়ে যে আবছা আলো তাকেই ভেবে নেওয়া সন্নিপাত। উষ্ণতা চায়ের কাপ ছলকে --- দোষারোপের শুরু। একে অপরকে শনাক্ত করার কী নির্মম সত্য ! সাইলেন্ট মোড থেকে প্রতিহিংসার ভলিয়্যুম পাশের বাড়ির জানলায় ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। পরকীয়ার মসলায় নুন কম হলে বা চিনি বেশি আসলে বনিবনার সম্পৃক্ত দ্রবণ । বামন গাছগুলো ঘরের দৃশ্য বিনোদনের মাপা খাবারে প্রতিবাদ শেখেনি। আশ্চর্য তাদের সহনশীলতা ! অথচ ভেঙ্গে যাচ্ছে একেকটা ফুলদানি। ফটোফ্রেম। অতিথি আপ্যায়নের নিখুঁত মিলজুল অনুমান সাধ্য হলেও , মেকি ভজনায় মধ্যবিত্তের চির অভ্যাসের পিছনে সাজানো বাগান শুকিয়ে যাওয়ার গল্পটা কেউ জানে না। ডাকলে যে শুনতে পায় না , ধাক্কা দিলে সাড়া দেয়।অথচ ভ্রমণের অসুখ তাকে যতটা ধার্মিক করেছে তার অধিক বাচিক। একটা মিথ্যে গল্প শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়ে গেছে বাগান রচনা। ভোরের পরে পাখিরা কোথায় যায় ! পাখির দেশে !

যা বোধগম্য নয়, তাকে আবিস্কারের বৃথা চেষ্টায় কয়েকটা ঋতু পেরিয়ে এলাম। একে অনুশোচনা বলা যায় না। সম্বিতের জানলাগুলো নিজেরই অসতর্কে খোলা হয়নি একযুগ। যাচ্ছি যাবো করে পৌঁছানো হয়নি সেই জানলার নীচে। যেখানে দাঁড়ালেই অবারন বৃষ্টি। সকাল ভাবতে ভাবতে সকাল এসে দাঁড়ালে লুকিয়ে ফেলি সেইসব রক্তদাগ। সকালের একই মানে,সে কবে থেকে যে!  অথচ জাগরণের রাত্রি বিষয়ে সেন্সরের কাঁচি। আলোর মহিমা যে বাড়িতে থাকে বা যে যে বাড়িতে তাদের কবিতা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। উত্তরণের প্রয়াসে সকালকে মহানরূপে বাখান।এই আপোষের গুণ বিচার ও গন্ধবিচার বিস্তারিত না করাই সমীচীন। কারণ চর্বিতচর্বণের পরিনামে আবিস্কারকের রীমলেস চশমা ব্যক্তিত্বের ওজন বাড়ায়।ভাবনা যে আপেক্ষিক তারা জানে না। হজমের  সামগ্রীর সঙ্গে হজমপাচকের ব্যবস্থা থাকলে পারিষদের তাঁবেদারির হাল কী হবে ভেবে দেখেছেন। আবর্জনার ভিতর থেকে সকাল সংলগ্ন পুকুরে স্নানে নামতে গিয়ে দেখে ভেসে উঠেছে সব মরা মাছ। সব লাশই দিনের বেলায় ভেসে ওঠে। রাত্রি ক্যালেন্ডারের তারিখে স্মৃতিবিজড়িত।

49sarkarbidisha@gmail.com


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.