বনবীথি পাত্র

#ফেরা
বৃষ্টিটা আবার ঝমঝমিয়ে এলো , সাথে এলোমেলো হাওয়া । গুরুগুরু করে মেঘ ডাকছে ঘন ঘন । একটা অসহ্য ক্লান্তি ঘিরে ধরে আছে মহুয়াকে । অবশ ভাবে টের পাচ্ছে হালকা জানলা দিয়ে ছাট এসে ভিজিয়ে যাচ্ছে শরীরটাকে , তবু জানলাটা বন্ধ করতে ইচ্ছা করছে না । দীর্ঘ তেইশ বছরের ইতিহাস যেন একসাথে এসে কড়া নাড়ছে জীবনের দরজায় । 

মেমসাব খিড়কি বনধ্ কি জিয়ে , বারিস আ রেহি হ্যায়.....

অবাঙালি ট্যাক্সি ড্রাইভারের কথায় ভাবনার জালটা ছিঁড়ে যায় মহুয়ার , একপ্রকার বাধ্য হয়েই জানলাটা বন্ধ করতে হয় ।

অফিসে ম্যানেজিং কমিটির একটা মিটিং ছিল , তার-ই প্রস্তুতি চলছিল । তখনি ফোনটা যায় , উজানের কোন সহকর্মী-ই ফোনটা করেছিল । উজানের স্ত্রী হিসাবে প্রথম মহুয়াকেই খবরটা জানানোর প্রয়োজন মনে করেই বোধহয় ভদ্রলোক ফোনটা করেছিলেন । যদিও উজানের জীবনে মহুয়ার গন্ধ ফিকে হতে শুরু করেছিল বহুবছর আগে । গত সাতবছর ধরে ওদের আলাদা থাকার ঘটনাটা ঐ ভদ্রলোকের বোধহয় অজানা । নাকি উজান-ই বলেছে মহুয়াকে ফোনটা করতে !!!! মাথার মধ্যে নানা প্রশ্নের জট পাকাচ্ছে মহুয়ার । তবু সাথে সাথেই একটা ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে নার্সিংহোমের উদ্দ্যেশে । মহুল ইউনিভার্সিটিতে , সাথে সাথেই ওকে খবরটা জানিয়েছে মহুয়া । তমাল আসতে চেয়েছিল মহুয়ার সাথে , মহুয়াই বারণ করেছে । 

বি.এ. পাশ করে তখন বাড়িতেই বসে মহুয়া , এম.এ. পড়ার ইচ্ছা থাকলেও দাদা-বৌদির অমতে সেটা আর সম্ভব হয়নি । একের পর এক পাত্রপক্ষের সামনে রূপের পসরা সাজিয়ে বসতে হচ্ছে আর ফিরে গিয়ে তারা কালো মেয়েকে অপছন্দের কথা জানিয়ে দিচ্ছে । এমনি এক ছুটির বিকালে উজান ওর দুজন বন্ধুকে নিয়ে দেখতে গিয়েছিল মহুয়াকে। নিজেকে কেমন যেন বাপ-দাদার গলগ্রহ বলে মনে হতো মহুয়ার । ইচ্ছা করতো না নিজেকে এইভাবে অচেনা মানুষগুলোর চোখের সামনে সাজিয়ে মঞ্চস্থ করতে । কিন্তু বাবার চোখের নীরব মিনতি আর বৌদির মুখভারে দায়ে পড়েই মহুয়াকে প্রত্যেকবারের মতোই উজানদের সামনে আসতে হয়েছিল সেদিন । বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের পছন্দের দাম আজো সেইভাবে নেই , তেইশ বছর আগে তো ছিল-ই না । তাই উজান বাড়ি ফিরে মেয়ে পছন্দের সম্মতিটুকু জানাতেই , বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল । মেয়ের বাড়ির আতিথেয়তা আর হবু বৌকে একটু মেপে নেওয়ার জন্য ছেলের বাড়ির লোকের সে কি আনাগোনা তখন । কালো রঙটুকুতে একটু চাকচিক্য আনার জন্য বৌদির কথা মতো হলুদ-বেসন-চন্দন-দুধের সর আরো কতো কি মেখে চলেছে তখন মহুয়া । তিন-চার বার হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনে পুতুল সেজে বসতে হয়েছিল মহুয়াকে । অবশেষে জীবনের সব সঞ্চয়টুকু দিয়ে পাত্রপক্ষের চাহিদা মিটিয়ে কালো মেয়েটাকে পার করেছিল বাবা । তাতেও দাদা-বৌদি শান্তি পেয়েছিল আর মেয়েটাকে পাত্রস্থ করে একটু নিশ্চিন্ত হয়েছিল বাবা । মহুয়া নিজেও কি কম শান্তি পেয়েছিল সেদিন !!!!

ছোট থেকে নির্ঝঞ্ঝাট মানুষ হিসাবেই দেখে আসছে বাবাকে । স্কুলের চাকরিটুকু ছাড়া বাকি সব দায়-দায়িত্বই যেন মায়ের ওপর দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকত বাবা । দাদা-দিদির থেকে অনেকটা ছোট হওয়াতে আর বাবা-মায়ের শেষ বয়সের সন্তান হওয়ার জন্য একটু অতিরিক্ত আদর পেয়েই যেন মানুষ হচ্ছিল মহুয়া । চেনা ছবিটা যেন বদলে গেল মায়ের মৃত্যুর পর । দিদির তখন বিয়ে হয়ে গেছে , বাবা অবসর নিয়েছে বছর দুয়েক আগে । মহুয়া সবে তখন ক্লাস এইট । চিরকাল সাংসারিক দায়িত্বভার না নেওয়া বাবা কেমন যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছিল মায়ের মৃত্যুতে । সংসারটা যেন হারিয়ে ফেলল নিজের গতিশীলতা । সব কথা যেন আজ ছবির মতো মনে পড়ছে মহুয়ার । দাদার বিয়ে হলো , বৌদি এলো । মাধ্যমিক পাশ করে সবে তখন কলেজে ভর্তি হয়েছে মহুয়া । বৌদির সাথে মহুয়ার সম্পর্কটা যতটা সুন্দর হবে ভেবেছিল , ঠিক তেমনটা যেন হলো না । ছোটছোট মনোমালিন্য , ভুল বোঝাবুঝি এগুলোকে সঙ্গী করেই কেটে গেল চার-পাঁচটা বছর । তারমধ্যে বাবার একবার অ্যাটাক হয়ে গেছে । ছোট মেয়েটাকে পাত্রস্থ করাটাই যেন বাবার জীবনের বেঁচে থাকার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে গিয়েছিল ।

অষ্টমঙ্গলা থেকে ফিরে আসার পরেরদিন-ই সন্ধ্যেবেলা বাবার হার্ট অ্যাটাকের খবরটা পেয়েছিল । পরেরদিন সকালে যখন হসপিটালে পৌঁছেছিল , ততক্ষণে সব শেষ । 

একবুক শূণ্যতা নিয়ে ফিরে এসেছিল মহুয়া । কিছুতেই যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছিল না , খুঁজে পাচ্ছিল না জীবনের স্বাভাবিক ছন্দটা । হানিমুনে গিয়েছিল মুসৌরী , সেখানে গিয়েও বাবার না থাকার শূণ্যতাটুকু কাটিয়ে উঠতে পারছিল না । এতবড় শোকটা সামলাতে হয়তো কিছুটা সময় আর অনেকটা ভালোবাসার দরকার ছিল মহুয়ার । উজান সেই শূণ্যতাটুকু পূর্ণ করতে এগিয়ে তো আসেই নি , উল্টে সন্দেহ করছে মহুয়াকে । বিয়ের আগের সম্পর্কের কোন স্মৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না বলেই নাকি মহুয়া এড়িয়ে চলছে উজানকে । উজানের সন্দেহটাকে দূর করতে চেষ্টা করেছিল মহুয়া । কিন্তু উজান কোন কথার পাত্তা না দিয়ে নিজের পৌরুষ দিয়ে মহুয়ার সবটুকু দখল নিতে চেয়েছিল । 

উজানের রোজকার সন্দেহ আর জোর করে কাছে পাওয়ার নেশায় মহুয়া প্রায় হাঁফিয়ে উঠেছিল , সবকিছু ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করতো । কিন্তু পালিয়ে গিয়ে দাদা-বৌদির সংসার ছাড়া সেদিন যাওয়ার কোন জায়গা ছিল না মহুয়ার । বাধ্য হয়েই মেনে নিতে হয়েছিল পরিস্থিতিটা । দেড়বছরের মাথায় মহুল এসেছ কোলে , ওকে নিয়েই দিনগুলো কেটে গেছে যেন কেমন করে । কখনো উজানকে মনের পাশে না পেয়েও কেটে যাচ্ছিল দিনগুলো । মহুল বড়ো হওয়ার সাথে সাথে মহুয়ার ওপর নিজের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রটা ছোট হয়ে আসতেই উজানের সন্দেহ প্রবণতাটা আবার যেন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে । মহুয়া কতবার ভেবেছে সবটুকু বাঁধন কেটে এবার বোধহয় বেরিয়ে আসতেই হবে । কিন্তু ভোরবেলা যখন উজানের ঘুমন্ত মুখটা দেখে বারবার এক অদৃশ্য মায়াতে আর সরে আসা হয়নি মহুয়ার । মনে হয়েছে ভালোবেসে হারিয়ে ফেলার ভয়েই বোধহয় নিজের কাছে , আরো কাছে ধরে রাখতে চায় মহুয়াকে । 

কিন্তু তবু একদিন মেয়ের হাত ধরে মহুয়াকে বেরিয়ে আসতেই হয়েছিল উজানের সংসার ছেড়ে । তখন সবে সবে চাকরিটা পেয়েছে মহুয়া , সংসার বাদেও একটা আলাদা কাজের জগৎ তৈরি হচ্ছে ওর । আর তাতেই সন্দেহের মাত্রা - মানসিক অত্যাচার সবকিছুই চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় উজানের । তথাগতর সাথে মহুয়ার বন্ধুত্বটাকে মেনে নিতে না পেরে যেদিন মহুয়ার গায়ে হাত তুলেছিল , সেদিন আর পিছু ফিরে তাকায় নি মহুয়া । সব ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল সেদিন । আইনত বিচ্ছেদে না গেলেও গত সাতবছর আলাদা-ই আছে উজানের থেকে । প্রথম প্রথম উজান চেষ্টা করেছিল ওদের ফিরিয়ে আনার । মেয়েকে নিজের কাছে রাখার চেষ্টাও করেছিল , মহুল রাজি হয়নি । ছোট থেকে মায়ের সাথে নিত্য অশান্তি দেখে দেখে বাপ-মেয়ের সম্পর্কটা কখনোই তেমন গাঢ় হয়নি । ছোটবেলাতে ভয় পেত আর এখন বড় হয়ে এড়িয়ে চলে বাবাকে । মহুয়া চায়নি মহুলের সাথে ওর উজানের সম্পর্কটা এমন তিতকুটে হোক্ , বরঞ্চ চেয়েছিল আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক হোক ওদের সম্পর্কটা । মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয় , মেয়েটাকে একটা স্বাভাবিক জীবন দিতে পারল না মহুয়া । 

মেমসাব হসপিটাল আ গ্যায়ি হ্যায়....ড্রাইভারের কথাতে খেয়াল হয় , হসপিটালের সামনে পৌঁছে গেছে ।

ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়ে নার্সিংহোম চত্বরে ঢোকে মহুয়া । দুপাশে সাজানো ফুলের বাগান আর মধ্যিখান দিয়ে চলে গেছে পিচঢালা রাস্তা । তারপর নার্সিংহোমের পাঁচতলা বিশাল বিল্ডিং । কাঁচের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে সামনেই রিসেপশন । উজান মৈত্র কোথায় আছে জানতে যাবে তখনি এক ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন । আধোচেনা লাগল ভদ্রলোককে , কখনো বোধহয় উজানের সাথেই দেখে থাকবে । আশপাশে আরো কিছু মানুষ , উজানের সহকর্মী বলেই মনে হচ্ছে সবাইকে ।

চিন্তা করবেন না বৌদি , খুব তাড়াতাড়ি আমরা দাদাকে আনতে পেরেছি , ট্রিটমেন্ট শুরু হয়ে গেছে । 

উজানের অ্যাটাকের খবরটা পেয়ে সাথে সাথে ছুটে এসেছে ঠিক-ই , তবে সেটা যেন ছিল শুধুই কর্তব্য । কিন্তু সত্যি এখন চিন্তা হচ্ছে উজানের জন্য , একটিবার চোখের দেখাটুকু দেখতে ইচ্ছা করছে ওকে ।

---- ডাক্তারবাবুর সাথে কথা হয়েছে ? উনি কি বলছেন ? একটু চাপাস্বরেই জিজ্ঞাসা করে মহুয়া ।

----- অ্যাটাকটা তো ভালোই হয়েছে , তাই বাহাত্তর ঘন্টা একটা রিসক্ তো থেকেই যাচ্ছে । তবে ডাক্তারবাবুরা অমন বলেই থাকেন , চিন্তা করবেন না , দাদা ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন ।

আপনি কি একবার দাদাকে দেখতে যাবেন , ভিজিটিং আওয়ার আছে এখনো আধঘন্টা । 

একবার উজানকে দেখতে যেতে ভীষণ ইচ্ছা করছিল মহুয়ার । ঐ ভদ্রলোক-ই ভিজিটিং কার্ডটা হাতে ধরিয়ে দেয় মহুয়ার হাতে । একসাথে দুজন যেতে পারে , কিন্তু ওখানে বেশি ভীড় করতে বারণ করছে । আপনি একা যেতে পারবেন না আমি যাব সঙ্গে ?

না না আমি একাই পারব ।

তিনতলায় , আই.সি.ইউ. ছয় ।

লিফট থেকে বেরিয়ে বাঁদিকের করিডোর দিয়ে একটু এগিয়ে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের দরজায় পৌঁছে থমকে দাঁড়ায় মহুয়া । কেমন যেন ভয় ভয় করছে ।

বাইরে চটি খুলে কাচের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকে মহুয়া । ঢুকেই ডানদিকে ডাক্তারবাবু আর নার্সদের টেবিল-চেয়ার । বাকি হলটা জুড়ে আটটা বেড । 

গভীর নিস্তব্ধতার মাঝে শুধু কার্ডিয়াক মনিটরে বিপবিপ শব্দ , ঠিক যেন মৃত্যুপথ যাত্রী মানুষগুলোর জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার শব্দ । ওষুধের গন্ধে গা টা কেমন যেন গুলিয়ে ওঠে মহুয়ার । সারি সারি সব মানুষগুলোকেই যেন একরকম লাগছে মহুয়ার ।

বাঁদিকের একদম শেষ বেডটায় উজান রয়েছে ।

সাদা চাদরে ঢাকা , মুখে অক্সিজেন মাস্ক , স্যালাইনের নল ঢোকানো রয়েছে ডান হাতের কবজিতে । মাথার কাছে কার্ডিয়াক মেশিনের মনিটরে চলছে হৃদয় তরঙ্গের ওঠানামা ।

এমন অসহায় ভাবে মানুষটাকে কখনো দেখেনি মহুয়া , ভেতরটা হঠাৎ যেন গুমরে ওঠে মহুয়ার । নিজেকে কেমন যেন অপরাধী মনে হয় । মহুল কখন যে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে খেয়াল করেনি মহুয়া । 

ভিজিটিং আওয়ার আরো পেশেন্টের বাড়ির লোকও এসেছে , হালকা চাপা গুঞ্জনে নীরবতা ভেঙে খানখান ঘরটার । নার্স এসে হালকা ধমক গিয়ে গেছে , রুগীদের কাছে অযথা ভিড় না করে বেরিয়ে যেতে ।

মহুয়া আর মহুল ফিরে যাবে এবার । 

মহুয়ার চলে যাওয়ার ইচ্ছাটা কি টের পেয়েছে উজান ? কেমন যেন ঘোলাটে ভাবে তাকায় মহুয়ার দিকে । মুখে কোন ভাষা নেই , শুধু তাকিয়ে আছে মহুয়ার দিকে । চোখের ভাষায় কিছু কি বলতে চাইছে উজান ? 

মহুয়া আসায় কিছু ভালোলাগা , নাকি কৃতজ্ঞতা , নাকি শুধুই মৃত্যুভয় !!!!!

উজানের বাঁহাতের তালুটা স্পর্শ করতেই যেন আলতো চাপ অনুভব করে মহুয়া । 

এটা কি আরো কিছুক্ষণ কাছে থেকে যাওয়ার অনুরোধ উজানের !!!! হাতটা সরিয়ে নিতে গিয়েও থমকে যায় মহুয়া ।

---- তুমি আর কিছুক্ষণ বসো এখানে , আমি নীচে যাচ্ছি । 

----- আমিই বা এখানে আর কি করবো , চল্ নীচেই যাই ।

মহুল যেন বড়ো অদ্ভুত ভাবে তাকালো মায়ের দিকে । 

---- এখনো পনের মিনিট ভিজিটিং আওয়ার আছে । তুমি থাকো এখানে , বাবার ভালো লাগবে ।

মহুয়া বুঝতেও পারেনি ছোট্ট মহুল কখন এতোটা বড় হয়ে গেছে । 

উজান তখনো তার দুর্বল হাতের মুঠোতে ধরে রেখেছে মহুয়ার হাতটা ।

উজান ফিকে দৃষ্টিতে মহুলের চলে যাওয়াটা দেখছে । উজানের ঠোঁটদুটো অল্প যেন কেঁপে উঠলো , কিছু কি বলতে চাইছে উজান ? মেয়েকে চলে না গিয়ে আর একটু থাকার কথাই বোধহয় বলতে চাইছে ভাষাহীন ঠোঁট দুটো । দুচোখের কোণ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে মহুয়ার । এতদিন তো এমন করেই উজানকে - মহুলকে - আর ওদের তিনজনের সুখী সংসারটাকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চেয়ে এসেছে মহুয়া ।


banabithipatra00@gmail.com




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.