তুমি বেপরোয়া ছিলে বলেই আমাদের ন্যাড়া ছাদের ওই বাবলা গাছটা বড্ড প্রিয় ছিল আমার, ওর গায়ের কাঁটাগুলো তোমার বেড়ে ওঠা দাঁড়ির মতোই অনুভব করতাম ছুঁয়ে ছুঁয়ে, শাড়ির আঁচলে তুষকাঁটা বিঁধলেই বুঝতাম, তোমার উন্মত্ত খিদের তালা খসে পড়েছে, অমনি পরম স্নেহে তার চাবিখানা আমার চৌকাঠ পেরোনো কৃষ্ণনাভির গভীরে ছুঁড়ে ফেলে দিতাম , তারপর তোমায় ডাকাত হয়ে উঠতে দেখে নিজের ধনসম্পদের গর্বে সম্রাজ্ঞীর খঞ্জনী বাজাতাম দুপায়ের নূপুরে...
শীতের বিড়ালের মতো সিঁদিয়ে যখন তোমার বুকের ওম মেখে নিতাম আমি, তখন বুঝতাম তোমার ক্ষুধা বড় কাঙাল, লোভী কাকের মতোই এর ওর রোদ কোড়ানো আচারের স্বাদ চাখতে চাইছে তোমার জিভ
আমি বড় ভয় পেতাম, তোমার বদহজমের বমি দেখে..
তাই তাড়াতাড়ি বাসি উনুনে আবার ফুটতে দিতাম সাদা ফটফটে পদ্মের ডাঁটির মতো জল ঝরানো শুকনো চালের দু চার মুঠি শরীর...
ভাতের গন্ধ এলেই, তুমি গৃহস্থ হতে পারো, হয়ত এই ভেবেই..
সুচিন্তিত মতামত দিন