সমাজ যত স্থূল হয়ে যাচ্ছে নৃশংস অপরাধগুলি জলভাত হয়ে যাচ্ছে। বিক্ষোভ জরুরী। মধ্যবিত্ত সমাজ কেমন করে করবে? সেটি পিটিশন করে সই সংগ্রহ করে রাষ্ট্রপতি বা রাজ্মুখ্য কারো কাছে দেওয়া যেতে পারে। মিছিল হোক, থানা ঘেরাও বা কার্যকরী পদক্ষেপ করে প্রশাসনকে নাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে কিন্তু ফেবুর প্রোপিক পাল্টে বা কবিতা লিখে কিভাবে সম্ভব! এই সেদিন শুভব্রত মাকে পিস পিস করে কেটে রাসায়নিকে ডুবিয়ে মার টাকায় তিন বছর ফুর্তি চালাল মিডিয়ায় পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণন শ্রবণ দর্শন। সে নাকি মানসিক রোগী!!!! পাপের শাস্তি নেই!
লাইফ হেল করে দিল। রোজ কত ভাল ঘটনা ঘটে চলে, মন খুশি করা সারল্য দান দয়া ভালবাসা সব সব সঅব ঘটে সমাজে রোজ ই, কিন্তু তা নিয়ে কবিতা লেখা হয়? আলোচনা হয়? যা পড়ে মানুষ পজিটিভ ভাবনায় উৎসাহিত হবে। ধিক্কারের নামে আনলিমিটেড কু ঘটনাবলী চর্চায় জগতের কি লাভ? ধর্ষণের নিয়মাবলী লিখে পুস্তক বের হবে কি? কিংবা খুন জখম রাহাজানি বাটপাড়ি কি কি কি.... নিয়ে সাহিত্য করা দরকার?
না কি সিনেমায় নায়ক নায়িকারা যেমন গুড বয় বা গার্ল হয় কিন্তু নাচ গান ঝকঝকে কস্টিউম ভ্যাম্পরা পরে কিংবা বিস্তারে রেপ সিন বা ডায়লগবাজীর সুযোগ পায় ভিলেন... ব্যাপারটা তেমনই?
আমার এক পিসিদিদা তখন বেজায় বৃদ্ধ, সারাদিন তার কাজ অন্যের হাঁড়ির খবর নেওয়া আর নিন্দেমন্দ করা। তো এক আত্মীয়া অল্প বয়সে বিধবা হয়ে গেলেন। তো সেই দিদার সঙ্গে দেখা হলে তিনি লেকচার দিচ্ছেন - কী আর করবি ক'। ঠাকুরের নাম কর। ঠাকুর ছাড়া গতি কই? ...বলেই ফের নিজে ওইসব নোংরা আলোচনায় মন নিয়োগ করলেন। মানে ত্যাগ তপস্যাটি তোমার ভোগরাগ আমার। এইরকমই আমরা । দ্বিচারী।
ঘরে ঘরে ছেলে মেয়ে মানুষ করবার সময় দুরকম আচরণ জারী রাখব আর ধর্ষণ হলে ফেবুতে কবিতা লিখে চোখের জল ফেলব? এ পাপ কাদের?
সুচিন্তিত মতামত দিন