বৈশাখী দাস

বৈশাখী দাস
এবং বসন্তে....     

ইতিহাস খুঁড়তে খুঁড়তে  পৌঁছে গেলে সময়ের গর্ভগৃহে,
মুক্তি পায় পাথরে পুঁতে রাখা কান্নারা এবং বসন্ত....
ফুঁপিয়ে ওঠা বাতাসে তারপর
অভিমানী কুহুর ধারালো বিলাপ,রক্তাক্ত পলাশ...
এবং বসন্তে,
স্নায়ুজাল সক্রিয়তায়,স্নানাগারও নগ্ন হয় হরপ্পাসৌন্দর্যের জলকেলি ভাবনায়।
মসৃণ পেলবতা ছুঁয়ে ছিটকে যাওয়া জলীয় ফোঁটা ভেঙে দিতে চায় ঐতিহাসিক বেড়া।

বসন্তের আঙুল ইজেল ছুঁলে,
আয়নার তেলছবি ফ্রেমে,ঘেমে ওঠে
গুহা-দেওয়াল,অজন্তা-ইলোরা খাঁজ।

বেলাশেষে,বাদামী পশমের ওম,
খেলাশেষে ক্লান্ত বালিশের তৃপ্তি,
গৃহস্থ শাওয়ারের স্নেহ,
শুষে নেয় অর্জিত কাদা পাঁক যাবতীয়।
খননে খননে অন্ধকার তীব্র হলে জোনাকি জলবায়ুও ছড়ায়
নাতিশীতোষ্ণ আরাম।

আসলে বসন্ত মানেই তো ‘পিছু ডাক'!
ওয়ান ওয়ে পথ-দৈর্ঘ্য বরাবর
তাই ফিরতেই হয় নিষ্ফলা, নিয়ে প্রতিধ্বনির পুঁজি....




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.