রাহুলের অফিসের বস্ ডঃআবির মুখার্জি আজ বাড়িতে এসেছে।তাঁর যত্নআত্তিতে রাহুল কোনও ত্রুটি হতে দেবে না।কারণ সে জানে স্যারকে খুশি করতে পারলেই প্রোমোশন পাকা।এবার ওই গাইয়া ভূতটা যদি না ডোবায় তাহলেই সব ঠিক থাকবে একথা ভাবতে ভাবতেই ওপাশ থেকে প্রশ্ন ছুটে এল রাহুলের দিকে ‘তোমার মিসেসকে দেখছি না!’ রাহুলের উত্তর রেডিই ছিল;বলল ‘ওর শরীর ঠিক ভাল নেই স্যার,আমি ওকে একটু রেস্ট নিতে বলেছি।’এরপরের ঘটনার জন্য রাহুল একদম প্রস্তুত ছিল না ।
- আই অ্যাম সরি রাহুল,আমি আজ এসে তোমাদের খুব অসুবিধাতে ফেললাম, আজ আসি পরে কখনো আবার আসব।
রাহুল তো চায়নি নিজের ব্যাকডেটেড বউ-এর সাথে স্যার এর আলাপ করাতে কিন্তু এবার কি করবে সে। রাহুল নিজের সব বিরক্তি চাপা দিয়ে হাসি হাসি মুখ করে বলল, তা কি করে হয় স্যার,আপনি এভাবে চলে গেলে নীরা খুব দুঃখ পাবে। ও তো আমার মুখে আপনার এত কথা শুনেছে, নীরা অনেকদিন ধরে আপনার সাথে আলাপ করতে চাইছে। রাহুল পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরনোর আগেই ডাক দিল নীরা বলে। কিন্তু নীরা আসার পর এবার যা ঘটল রাহুল আর তা বিশ্বাস করতে পারছিল না। নীরা কি সাবলীলভাবে কথা বলে চলেছে আবিরের সাথে, তাও ফ্লুয়েন্ট ইংরেজিতে। এদের কথা শুনেই রাহুল বেশ বুঝতে পারছিল এরা পূর্বপরিচিত। এই নীরাকে রাহুল চিনতে পারছিল না। রাহুল যাকে গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে বলেই এতকাল উপেক্ষা করে এসেছে,তাকে এতো স্বপ্রভ দেখতে মন সায় দিচ্ছিলো না। আবিরের কথায় এবার আরো বিস্মিত হল রাহুল ...
-বুঝলে রাহুল তোমার এই স্যার জীবনের কোনো পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়নি কিন্ত সেই আমাকেও একবার হার মানতে হয়েছিল। আমি গ্রাজুয়েশানে দ্বিতীয় হয়েছিলাম ইউনিভার্সিটিতে; কেন জানো ?কারণ তোমার বউ সেবছর ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিল।
রাহুল স্তম্ভিত হয়ে শুধু ভাবছিল তার দেখার বাইরে না জানি কতটা অদেখা রয়ে গেছে।
সুচিন্তিত মতামত দিন