ছোটবেলায় যখন ইতিহাস বইতে ‘জওহর ব্রত’ কথা পড়েছি তখন সম্মান রক্ষার উল্লেখ পেলেও ব্যাপারটা বুঝতে পারতাম না। ভাবতাম এত বীর ও জাত্যাভিমানী জাত যে পুরুষরা যুদ্ধে হেরে গেলে রাজপুত মেয়েরা সেই পরাজয় মেনে নিতে পারত না, আত্মাহূতি দিত। ব্যাপারটাকে অহংকার হিসেবেই দেখতাম, কারণ ‘অসম্মান’ কোন পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারে এবং ‘সম্মান রক্ষা’ ব্যাপারটা কেন এত অগ্রাধিকার পেত যে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হওয়ার মতো বীভৎস মৃত্যু বরণেও হিন্দু মেয়েরা পিছ পা হোত না, সেটা একদম পরিষ্কার ছিল না। এখন ঘিনঘিনে ও রগরগে অপরাধ এত বেড়ে গেছে যে চার বছরের শিশুও সম্মান ও শরীর কীভাবে অঙ্গাঙ্গী জড়িত তা বুঝতে বাধ্য হচ্ছে। তখন তো অপরাধের জনপ্রিয়তা এতটা ছিল না, বা হলেও সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে তার এত দর্শনার্থী জুটত না।
সময় এগিয়েছে কিন্তু সভ্যতা পশ্চাদ্গামী। ২০১৭-তেও মেয়েরা যখন বীরভোগ্যা ও সহজদাহ্য রয়ে গেছে, তখন দাহ প্রথার আলোচনা আবার প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেলে আশ্চর্যের কিছু না। তবে একটি চলচ্চিত্র যার মধ্যে ঠিক কী দেখানো হয়েছে সবটাই রটনা নির্ভর কল্পনা রয়ে গেছে সেটা নিয়ে সারা দেশের সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক মহলের এতটা প্রতিক্রিয়া ও তৎপরতা মোটেই শ্লাঘার বিষয় নয়, উপেক্ষার তো নয়ই।
বিজ্ঞজনরা বলছেন ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে আলাউদ্দিন খিলজি চিতোর আক্রমন করেন, যে ঘটনাকে উপজীব্য করে ২৩৭ বছর পর ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে সুফি কবি মালিক মহম্মদ জয়েসি অবধি (আওয়াধি) ভাষায় রচনা করলেন "পদ্মাবত" নামে একটি রূপকথা সদৃশ কাব্য। চিতোরের রাজা রতন সেনের (সিং) প্রিয়তমা স্ত্রী ছিলেন সিংহল (শ্রীলঙ্কা মতান্তরে হরিয়ানার) রাজের কন্যা রানী পদ্মাবতী। রতন সেনের বিক্ষুব্ধ সভাসদ রাঘব মারফত সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির কানে পদ্মাবতীর অসাধারণ রুপ লাবণ্যের কথা পৌঁছোয়। অতএব চিতোরকে আক্রান্ত হতে হোল। দীর্ঘ অবরোধ ও যুদ্ধে রতন সেন সহ অনেক রাজপুত নিহত হন। কিন্তু সুলতানের পক্ষে পদ্মাবতীকে অধিকার করা সম্ভব হয়নি, হয়নি অন্যান্য রাজপুত নারীদের অসম্মান করার সুযোগও। তাঁরা সম্মিলিতভাবে দুর্গের ভেতরেই জওহরব্রত করে আগুনে প্রাণ ত্যাগ করেন। মোটামুটি ভাবে এই হল কাব্যের কাহিনী এবং শুধুমাত্র কাহিনীই যার নাকি বিন্দুমাত্র ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। যাঁরা এ কথা বলছেন তাঁদের যুক্তি চিতোর রাজ রতন সেনের স্ত্রী পদ্মাবতীর অস্তিত্বের উল্লেখ কোনও ঐতিহাসিক সূত্রে নেই। কিন্তু ছিলেন না যে তারই বা কী প্রমাণ আছে? কারও সম্পর্কে লোকগাথা কীংবদন্তী প্রচলিত হলেই যে আসল মানুষটিকে বা তার সমসাময়িক আর সবাইকে মিথ্যে হয়ে যেতে হবে তার কী মানে আছে?
যাই হোক, যদি ধরেও নিই পদ্মাবতী বা পদ্মিনী চরিত্রটির ঐতিহাসিক সত্যতা ছিল না, তাহলেও এই সত্যটা কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না আলাউদ্দিন খিলজির চরিত্র কিন্তু কাব্যে বর্ণিত খলনায়কোচিতই ছিল। মধ্যযুগে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ক্ষমতালোলুপ সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের সেরা বিনোদন ছিল রক্ত এবং নারী। চেংগিস খান থেকে আওরঙ্গজেব কেউ বাদ ছিলেন না। কোনও শহর বা দুর্গ দখলের অব্যবহিত পরেই চলত ব্যাপক হারে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ। তারপর পরাজিত রাজার রানী,কন্যা এমন কি রাজমাতা পর্যন্ত ঠাঁই পেতেন জয়ী সম্রাটের হারেমে। তাদের ভাগ বাঁটোয়ারাও করা হত,জয়ী রাজার অনুগত সামন্তরা লুঠের মালের সাথে এই সব নারীদেরও সম্রাটের কাছ থেকে উপহার হিসাবে লাভ করতেন। আলাউদ্দিন খিলজির নিজের হারেমেও লুণ্ঠিতা নারীর কোন কমতি ছিল না। গুজরাটের রাজা কর্ণকে পরাজিত করার পর তাঁর রানী কমলাদেবী স্থান পান আলাউদ্দিনের হারেমে। কর্ণ ও কমলাদেবীর কন্যা দেবলাদেবীর জায়গা হয় আলাউদ্দিন পুত্রের হারেমে এবং সেই পুত্র নিহত হবার পর গুজরাটের রাজকন্যা অন্তত তিন বার আলাউদ্দিনের সামন্তদের মধ্যে হস্তান্তরিতা হন।
শুধু তাই নয় শীত গ্রীষ্ম বর্ষা যে কোনও ঋতুতে গরিব ঘর থেকে সম্ভ্রান্ত বংশের মেয়েদের খালি পায়ে প্রায় নগ্ন দেহে পায়ে দড়ি বেঁধে হাঁটিয়ে এনে খোলা বাজারে বিক্রি করা হোত। কেউ কেনার আগে সর্বাঙ্গ টিপে-টুপে পরখ করত কতজন তার লেখাজোখা নেই। অতঃপর গিয়ে পড়ত কোনও বিকৃতকাম পিশাচের অধীনে। এই নারকীয়তা থেকে মরণ ছাড়া বাঁচার উপায় যখন ছিল না, তখন আজীবন বন্দিনী থেকে ধর্ষিত লাঞ্ছিত অত্যাচারিত হওয়া থেকে ‘বাঁচতে’ মৃত্যুকে আগেভাগে বরণ করে নিতেন অনেকেই। বিষ পান করেও আত্মাহূতির রেওয়াজ ছিল। কিন্তু বহিঃশত্রুর আক্রমণে বিষ পানের চেয়ে অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু অগ্নি সমাধি বরণ করার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন: মৃতদেহগুলিকেও বিজয়ীরা অসম্মান করতে ছাড়ত না, তাই সেই সম্ভাবনাও নির্মূল করতে নিজেদের দেহ ভস্মীভূত করে ফেলতেন রাজপুরনারীরা। এখন সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত ও বলিউড হলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকন অভিনীত চলচিত্রটির ঐতিহাসিক ভিত নাই থাকতে পারে, কিন্তু ‘জওহর’-এর ঐতিহাসিক সত্যতা এবং তার কারণ নিয়ে মতানৈক্যের জায়গা নেই। Historical mass suicides: 14 incidents of mass suicides সূত্র জানাচ্ছে “In India, the mass suicide, also known as Jauhar, was carried out by women and men of the defeated community, when the fall of a city besieged by Muslim invaders ( such as Mohammad Bin Qasim, Alauddin Khalji, Mohammed Tughlak, Babur, Humayun, Akbar, Aurangzeb), was certain. Some of the known cases of Jauhar of Rajput women are at the fort of Chittaur in Rajasthan, in 1303, in 1535, and 1568.”
অন্য একাধিক সূত্র থেকে রচিত দিব্যেন্দু ব্যানার্জীর REMARKABLE RUINS – Chittorgarh, India ওয়েবসাইট অনুসারে বহিঃশত্রুর আক্রমণের জেরে চিতোরে তিনবার ব্যাপক হারে জওহর অনুষ্ঠিত হয়। The fort of Chittorgarh was attacked thrice – by Allaudin Khalji (who was obsessed by the unrivaled beauty of Rani Padmini and desired to possess her at any cost), in 1303 AD, by Gujarat’s Sultan Bahadur Shah in 1535 AD and by Mughal Emperor Akbar in 1567 AD. Thrice the ladies of Chittorgarh sacrificed their lives in the burning pyres to keep their honour by performing Jawhar Brata. এখানে কিন্তু শুধু ১৩০৩ সালে রানী পদ্মাবতী নয়, ১৫৩৫ সালে রানী কর্ণাবতীর এবং ১৫৬৭-৬৮ সালে আকবরের আক্রমণে সেই সম্মানের প্রশ্নেই একাধিক রাজপুতানীর অগ্নিতে আত্মাহূতি দেওয়ার উল্লেখ আছে। তাছাড়া গোটা রাজপুতানা জুড়ে মহম্মদ বিন কাসিম, মহম্মদ বিন তুঘলক, খিলজি, বাবর, হুমায়ুন, আকবর, অউরঙ্গজেব – প্রমুখ দোর্দণ্ড প্রতাপ সুলতান বাদশাদের অনুকম্পায় অসংখ্য জওহরের ছড়াছড়ি। রাজপুত যোদ্ধাদের বীরত্বের কথাও বিধৃত বহু জায়গায়। আকবরের আক্রমণে চিতোরের পতনের পরই রাজধানী চিতোর থেকে উদয়পুরে স্থানান্তরিত হয়।
পুরো ব্যাপারটা গালগল্প বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা যে মধ্য যুগের শাসকদের কুকীর্তি আড়াল ও অস্বীকারের প্রবণতা থেকেই, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বস্তুত গুপ্তযুগের পর সতীদাহ প্রথা বহাল থাকলেও প্রকোপ কিছুটা কমেছিল মনে করা হয়। সেটা যে দ্বিতীয় সহস্রাব্দে পুনরায় জাঁকিয়ে বসল তা মূলত মুসলিম শাসকদের অনুকম্পাতেই। মোগল সম্রাটদের কেউ কেউ এই কুপ্রথা বন্ধ করার চেষ্টা করেও সফল হননি। তার অন্যতম কারণ যে ‘রক্ষকই ভক্ষক’ এটাও বোধহয় অনুমান করা যায়। গ্রীক আক্রমণের সময়ও বিজিত রাজ্য লুণ্ঠনের পর ধর্ষণ যে হয়নি তা নয়, কিন্তু ধর্মের অনুমোদন ও প্রশ্রয় থাকায় পরবর্তীতে সেটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই প্রথাটা অদ্যাবধি বিলুপ্ত হয়নি, আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানেই পদ্মাবতী ও জওহর নিয়ে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার প্রাসঙ্গিকতা এখনও রয়ে গেছে।
তবে যতই বীরগাথা প্রচলিত থাক, রাজপুতদের বীরত্ব ব্যাপারটা অনেকটা নিজের পাড়ায় সিংহ আর পরের মহল্লায় শৃগালের মতো। তারা নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতে যতটা পারঙ্গম ছিল, বহিরাগত সাম্রাজ্যবাদী অথবা লুন্ঠনকারীদের প্রতিরোধ করতে ততটাই অক্ষম; বরং কুটনৈতিক তথা রাজনৈতিক স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্বাসঘাতকতা ছিল তাদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পৃথ্বীরাজ চৌহানের বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে মহম্মদ ঘোরির অন্যতম সহায়ক ছিলেন জয়চাঁদ। ইব্রাহিম লোদীকে উৎখাত করার জন্য বাবরকে ভারতবর্ষে আমন্ত্রন জানান স্বয়ং রাণা সংগ্রাম সিংহ। পরবর্তী কালে তো রাজপুতানা মুঘল বাদশাহদের স্থায়ী মাতুলালয় হয়ে যায়। আকবরের পর থেকে কোন মুঘল বাদশাহের শরীরেই আর খাঁটি মুঘল রক্ত ছিল না। হিন্দু রাজকন্যারাই যেখানে ব্যবহৃত হতেন বাপ দাদার রাজ্য প্রাণ ও মান রক্ষার যৌতুক হিসেবে, সেখানে সাধারণ মেয়েদের কথা আর না বলাই ভালো।
এত কথা এই জন্য বলতে হল কারণ খুব সম্প্রতি "পদ্মাবতী" নামে একটি ফিল্ম মুক্তি পেতে গিয়েও বিতর্কের জেরে আটকে গেছে, যা সম্ভবত "পদ্মাবত" কাব্য অথবা তার অনুসারী অন্যান্য প্রচলিত গল্পগাথা অনুসারে নির্মিত। যে চলচিত্রের ঐতিহাসিক ভিতটাই নড়বড়ে সেখানে কাহিনীকার বা পরিচালকের স্বাধীনতা আছে কাহিনীটিকে নিজের মতো করে পরিবেশন করার। সেটাই শিল্পীর গনতান্ত্রিক স্বাধীনতা। আপাত যুক্তিবাদী দৃষ্টিতে কিছু রাজপুত সংগঠন এবং রাজপুতানার পুর্বতন রাজ পরিবারগুলির তেলে বেগুনে হওয়া এক দিক থেকে হাস্যকর ও অযৌক্তিক মনে হলেও অন্যদিক দিয়ে দেখলে একেবারে তাৎপর্যহীন বলা যায় না। ফিল্মে যদি পদ্মাবতীর আলাউদ্দিন খিলজি, যে লোকটা উক্ত রানী না হোক হাজার হাজার হিন্দুর রমনীর পুড়ে মরার কারণ,তার সাথে রোমান্স দেখানো হয়ে থাকে, তাহলে তার প্রতিবাদ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়তে যারা দ্বিতীয়বার ভাবত না, তাদের আত্মমর্যাদাবোধ, সততা (সতীত্ব বলছি না) বা সাহস নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না, সে সমস্ত যদি সংস্কার বশত হয়ে থাকে তাহলেও। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যদি সতীপ্রথা কিংবা জহরব্রতকে মহিমান্বিত করা হয়, তবে তা আরও বিপজ্জনক। কারণ বলার অপেক্ষা রাখে না "In the Hindu traditions, Jauhar was a heroic act by a community facing certain defeat and abuse by enemies."
পদ্মাবতী চরিত্রটি তাই বাস্তবিক না হয়ে রূপক বলে মেনে নিলেও তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব কমে না বরং বহুগুণ বেড়ে যায়। কারণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রানী হোক বা চাকরানী, হিন্দু মেয়েদের ঘৃণ্য যৌন দাসত্ব কিংবা আগুন যে কোনও একটা বেছে নিতেই হোত। অধিকাংশ সময়ই বাছারও উপায় থাকত না, পরিস্থিতি তাকে যে কোনও একদিকে বা একে একে উভয় দিকেই ঠেলে দিত। অনেক ক্ষেত্রেই মরার ইচ্ছা না থাকলেও কলঙ্কের ভয়ে সতীর্থ রমণীদের অনুসরণ করতে হোত। একটি জাতির পুরুষদের পরাভব ঢাকতে এই পৈশাচিক নারী নির্যাতনকে মর্যাদার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা যেমন দুর্ভাগ্যজনক, কোনও প্রতিনিধি স্থানীয় নারী চরিত্রটিকে (কাল্পনিক হয়ে থাকলেও) বাজারি উদ্দেশ্যে কলঙ্কিত করাটাও সমান আপত্তির। হ্যাঁ রাজ্যের শত্রু স্বামীহন্তা, যাদের বিনোদন হল বেপরোয়া ধর্ষণ ও বিজিত পক্ষের নারীদের যৌনদাসী বানিয়ে রাখা, তেমন কারও সঙ্গে গোপন আঁতাতকে কলঙ্কই ধরতে হবে। অবশ্য তেমন কিছু করা হয়েছে কিনা সেটাই পরিষ্কার নয়। কারণ যুক্তির চেয়ে অন্ধ বিশ্বাসের গতিবেগ বেশি, খবরের চেয়ে রটনার। ভয় একটা শিবিরের প্রতিক্রিয়া দেখে। মা বোনেদের ইজ্জত রক্ষার জন্য আবার না আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। ভয়টা অমূলক নয় কারণ ফেসবুকে একজনকে সতীদাহ ও জওহরের সঙ্গে স্বেচ্ছামৃত্যুর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে কত যুক্তি শানাতে দেখেছি। এমন কি চলচ্চিত্রটির ছাড়পত্র পেতে যেভাবে সাফাই দেওয়া হচ্ছে তাতেও এই উদ্বেগ যেন আরও বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা প্রচণ্ড তালগোল পাকিয়ে রয়েছে।
অনেকের ধারণা বলিউডের বহু পুরানো কৌশল অনুযায়ী বিক্ষোভকারীদের এই যথোচিত নাঁচন কোঁদন ফিল্ম নির্মাতাদের দ্বারা প্রদত্ত কাঞ্চন মূল্যের বিনিময়েও হতে পারে। যত বিতর্কিত হবে, ফিল্মটি দেখার আগ্রহও তত বাড়বে এবং ফিল্ম নির্মাতাদের ব্যাবসায়িক লাভও সমানুপাতিক হারে বাড়বে। কারণ "পদ্মাবতী" দেখার জন্য বিশাল সংখ্যক জনতা যে মুখিয়ে আছে,বলা বাহুল্য। তবে ফিল্মটির মুক্তির ওপর কয়েকটি রাজ্যে নিষেধাজ্ঞার কঠোরতা ও অনমনীয়তা দেখে মনে তো হচ্ছে না ব্যাপারটা গট-আপ।
সুচিন্তিত মতামত দিন