রিয়া চক্রবর্তী

পোড়া মন


নাহ! ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস নেই আমার।তবুও চোখ খুঁজে বেড়ায় আশে পাশে ধূপ আর কর্পূরে মিশে-ভেসে সেই ছোট্ট বেলার দিনগুলো। ব্রাহ্মণ বাড়ির মেয়ে হয়েও ঠাকুরের প্রসাদ প্রণাম করে খাইনি কখনো। মন চেয়ে থাকে রোজ। কোথা থেকে আলো এসে ফিরোজা রঙে ধুয়ে দেয় আকাশ? তারও পর, অনেক সময় পার হয় নদী। স্বপ্ন গাছেরা পাতা ঝরায়,পাতা সাজায়। আরো একটু ছোঁয়া পায় আকাশ। আর আরো একটু চুপ হয়ে থাকি আমি। এই হিমহিম শীতে বুঝে নিই দুপুরে ওম। ঠিক যেন নেশা নেশা রোদ। ধুলোতে পায়ের পাতা খসখসে। আঙুলের ফাঁকে আবছায়া রঙ।কোথা থেকে গন্ধ এলো বরফ কুচির? কি যে হয় আমার! অথচ এই ঘেরাটোপে আসবার কথা নয় সেই গন্ধের। তবু এলো, মনে আসার মতন করে, মন ব্যাকুল করে। 

একটাও শব্দ নেই বাতাসে এখন।তবুও, কান পেতে নিঃশ্বাস বন্ধ করে শুনতে চেষ্টা করেছি কতবার। বড় বেশি নিস্তব্ধ চারপাশ। শব্দেরা তরঙ্গে তরঙ্গে তবু, আঙুলের ডগা বেয়ে ছুঁয়ে যায় মন, চোখ। অনেকটা অবকাশ যেনো গলে পড়েছে বালির মতো কোন ফাঁকে আলগোছে ,মনে মনে, আলতো আড়াল রেখে আগুন খুঁজি রোজ।আর রোজ রোজ ভাবি, পুড়ে যেতে বড় বুঝি সুখ। ঝলসে ঝলসেও কি আরাম! একটু একটু করে আরেকটু অন্যরকম হয়ে যায় সময়। তবুও অনেকটা চলা বাকি থেকে যায়। এই এত দূর থেকে আনমনে ভাবি, পুড়ে যাওয়া মন থেকে কি আর ভাসবে চন্দনের গন্ধ?এই গন্ধ, আর এই সোঁদা সোঁদা দিন, এই সব আজকাল নতুন।অপেক্ষায় থাকি সেই দিনের যেই দিন, স্বপ্নগুলো নেমে এসে হাতে হাত রেখে পথ চলবে,আর আমিও ডিঙিয়ে যাবো চৌকাঠ।

নিষ্পাপের অভিমানে, ভালো থাকিস মন।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.