গৌতম বসু

গৌতম বসু
 গণধর্ষণ ও গণতন্ত্র 

রাতের অন্ধকারে যূথবদ্ধ নেকড়েরা শিকারের সন্ধানে নির্গত,
আদিম লালসায় চকচকে চোখগুলোয় ইশারা খেলে যায়,
শিকারটাকে বেশ কিছুটা ছুটিয়ে নেওয়া যাক -
খাবারটা একটু গরম না হলে ঠিক জমেনা ।

পলায়নরতা ত্রস্ত হরিণীটা এতক্ষণে বুঝে গেছে
বাঁচার আর কোনো আশা নেই,
তবুও শেষ চেষ্টা করে যেতে হবে -
শুধু সম্ভোগেই তো এ যন্ত্রণার অবসান নয় ।

ক্ষুন্নিবৃত্তির পর শরীর-বিদ্যায় মনোনিবেশ;
টর্চ প্রবিষ্ট করে অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গ পর্যবেক্ষণ,
লোহার রড দিয়ে অন্ত্রটাকে টেনে বের করে আনা -
ব্যবচ্ছেদের পারদর্শিতায় হার মানবে শল্যশাস্ত্রজ্ঞও ।

দিনকয়েক চিৎকার, প্রতিবাদ, মোমবাতি মিছিল;
সমাজবাদের ধ্বজাধারী নেতা মোলায়েম কণ্ঠে বলবেন,
"ছেলেরা তো ভুল করবেই, তা বলে কি ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে?"
পরিশেষে জ্যোতির্বলয়ের আড়াল থেকে শোনা যাবে সেই অমোঘ দৈববাণী,
"ওরকম তো কতই হয়!"



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.