এই মেয়ে,দেখিস কি তুই
অবাক চোখে?
এক পৃথিবী প্রেমের কথা
লিখবে কি কেউ আপন বুকে?
ধুর-ধুর, ছাড়তো এসব বাজে কথা,
ওসব রাধাকৃষ্ণের বিরহ-ব্যথা।
এই মেয়ে,তুই হাটিস না আর রাজপথেতে।
তোর ছেঁড়া শাড়ির ফাঁকফোকর থেকে
যৌন সুধা গন্ধ ভেসে আসে।
যেমন করে জোয়ার জলে
ঝাঁকে ঝাঁকে সুস্বাদু ইলিশ আসে
গাঙের জলে গর্ভ পেতে,
ভাপার স্বাদ মিটিয়ে
ঘুরবি যে পথে ঘাটে,
কাঁটা হয়ে,বাপ মায়ের বুকে বিঁধে।
রাখ তোর জ্ঞানের খাতা
কবিতার ঝোলায় ভরে।
আমায় তুই জানিস কত?
একবেলাতে,ভরাহাটে!
আমার তূণেও তীর আছে লঙ্কাবাটা।
যদিও আমার বয়স ষোল,
কত বাবু এলো গেলো।
কেউকি আমার জাত শুধালো?
সবই এই শরীর ঘিরে,
আমাদের আবার জাত কিরে?
নাইবা হলাম সতী নারী,
মেয়েমানুষ হলো ভাতের হাঁড়ি।
পুরুষ শুধু খিদে খোঁজে,
এই শরীরের খাঁজে খাঁজে।
মনের হদিশ কে কার নিলো,
কজন আমার খবর রাখে?
রক্তে আমার কীটের ভেলা,
বাঁচব আমি আর ক'বেলা!
প্রেম কি আর এমনি আসে
খালি পেটে?
নষ্ট মেয়ের নষ্ট কথা
লিখবে কি কেউ
এক পৃথিবী কাগজ জুড়ে?
কিনবে কি কেউ প্রেমের দরে
লক্ষ্মীসোনা মেয়ে বলে!