আমি কখনো কখনো একচিলতে ফেলে আসা পলাশীর উপলব্ধি নিয়ে
লিখে যাই মৃত কবিতার জট...
কখনো কাউকে বলি আমি তো তেইশ সবে,
আমার পিঠেই আছে সূর্যের আলোদানের প্রতিশ্রুতি!
প্রতিদিন সন্ধ্যের সাথে সূর্যাস্তের আতঙ্ক নামে -
পাখিরা চিনিয়ে দেয় শরীরের ঘরবাড়িগুলো,
চাদর বলতে কেউ রামধনুর বিষণ্ণতা বোঝে
সহজাত মৃত্যুযোগে জড়িয়ে যায় ঘুমন্ত জটায়ুর ডানা...
সূর্যের আলো অবিচারে রোজ তার ক্ষতেও পড়ে
তাই বৃদ্ধ খতিয়ান এক রেখেছে তার শহুরে ঠিকানা!
হয়ত নিয়ম করে মেঘেরা দ্বারস্থ হয় নীলচাষীর ঘরে
ছড়িয়ে দেয় চাষযোগ্য বীজ
তবুও চায় না শুধু উড়ন্ত শহরের অধিকার...
আমি এক ঘরোয়া ফড়িং
আর ঘরছাড়া বিপ্লবের দেশ...
রঙিন সাজতে গেলে চাদরেই মুখ ঢাকে পাখিরা
রাত যতই গভীর হয়
ততই স্বাধীন হয় বিষ,
আর পাখিদের ঠোঁট থেকে একআধটা আস্ত নীলচাষের জমি
স্বত্বহীন হয় অহর্নিশ।