আমি অতি দেশপ্রেমিক ভারত মায়ের ছেলে,
জাতীয় গান শুনলে পরে নিমেষে যাই গলে।
নিয়ম করে প্রতিবছর তেরঙ্গাটা তুলি,
আকাশপানে হাতটা তুলে জয় হিন্দ-ও বলি।
চায়ের কাপের তুফানে বয় দেশের আলোচনা,
কিসে ভালো, কিসে মন্দ, সবই আমার জানা।
প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, মোমবাতি অভিযান,
সবখানে আমি আছি, দেখাতে এ মুখখান।
সকালবেলাতে মোর কাগজখানা যে চাই,
লুচি তরকারীযোগে খবরগুলোকে খাই।
দুপুরে আপিসে যাই সঙ্গে দু কাপ চা,
মন হলে কাজ করি টেবিলে তুলিয়া পা।
এর বেশী কোনোদিনও কাজ পড়ে গেলে,
খুশী মনে করে দিই, উপরিটা পেলে।
বিকালে হলেই সেই দেশীর খিদেটা পায়,
টুক করে চলে যাই মোড়ের দোকানটায়।
কখনো ইচ্ছা হলে, ওই পাড়াতেও যাই,
একঘেয়ে জীবন, তাই রঙ আনতে রে ভাই।
আইন কানুন সব মানি, বাইরে-পথে-ঘাটে,
হেলমেটটা যদিও একটা সমস্যাই বটে।
দেখছ আমার দেশপ্রেম, দেশকে ভালোবাসা,
তাই তোমাদের বারে বারে শিক্ষা দিতে আসা।
বলছিটা কি,
এগিয়ে এসো দেশের সেবার পথে,
তোমরা সবাই সামনে থাকো, আমি আসছি রথে।
জানোই তো আমার এই জীবন কত দামী,
তোমরাই তাই রক্তটা দাও, জ্ঞানটা দেবো আমি।
আমার ছেলে চাকরী করুক ব্যাংকে ইস্কুলে,
তোমার ছেলে পাহারা দিক সীমান্ত পাঁচিলে।
আমার মেয়ে জামাই সমেত বিদেশ দেবে পাড়ি,
তোমার মেয়ে আগুনে পুড়ুক, ভারতীয় নারী।
মাইনে আমার বাড়তে থাকুক কমপ্ল্যানটা গিলে,
তোমার তো অতো খাবার না হলেও চলে।
দেশের জন্য একটু না হয় কৃচ্ছ সাধন করো,
তবেই হবে দেশপ্রেমিক, আমার মতো, বড়।