"দাদা, কটা বাজে?" প্রশ্নের জবাব খুঁজতে চোখ চলে যায় কব্জিতে। অথচ ঘড়ি নেই। সেই হৃদস্পন্দনে চলা হাতঘড়িটা তো এখন একটা পুরানো বাক্সে মলিন হয়ে উঠছে। পকেটের ঝকঝকে মোবাইল দেখে টাইম বলতেই লোকটি চলে গেল ...
এভাবেই মুঠোয় নির্ভর পৃথিবীর সঙ্গে ওঠ-বোস করছি প্রতিনিয়ত। আমি, তুই, সকলেই- দ্রুতগতিতে...
পাল্টে যাচ্ছে দরজা-জানলার নক্সা ও রঙ, মুছে যাচ্ছে চৌকাঠ... অথচ আজও তোর হরিণী চোখের স্বরলিপি মিলিয়ে সেই পুরানো গান রোজ ভোরে বাজে। পোড়ো বাড়ির চৌকাঠে মাথা ঠেকিয়ে দিই প্রতি ভোর ও গোধূলিতে। রক্তিম আলোতে আকাশ ভরা পাখিদের কাব্য পাঠ করতে করতে সাজিয়ে নিই তোর-আমার উপমাগুলো। কাব্য হয়ে ওঠে না তবু সেই সংসার!
ঘড়ির মতো হাতকে বেঁধে সহজ বাঁচাগুলো কবে যেন শেষ হয়ে গেছে! লোকটি এই কথাই মনে করিয়ে চলে গেল...
আজ হয়তো তোর ঘরের কোণে ঘড়ির পাশে সেই 'যুগল' ছবিটা টাঙানো। টিকটিকি তার পাশে টিক টিক করেও রঙগুলো উজ্জ্বল করতে পারছে না। আর আমি এক পাখির প্রেমে আচ্ছন্ন। দিন-রাত ব্ল্যাক-এণ্ড-হোয়াইট সিনেমায় পাখিটাকে রঙীন দেখতে চাইছি। কত বোকা না আমি? ঠিক, এই বোকা-হাঁদার মতোই পাখিটার স্বপ্নে ক্ষয়ে যাচ্ছি...
পাখি কি আর এই ক্ষয়িত ভূমিতে বাঁচতে চাইবে? জানি না রে! জানতে চাইও না!
তুই কেন চলে গেলি দূরে? কেন আজও নীরব খামে লেখা চিঠির শূন্যস্থানগুলো?
-তাও জানতে চাই না! শূন্যস্থান দিয়ে শুরু ঘড়িটা শূন্যই থাক মুঠো-পৃথিবী থেকে দূরে। তোকে ঘিরে লুপ্তপ্রায় হলে কী আসে-যায় বল পাখির, বা পাখির নীলের?
ইতি
অ-বন্ধু
অ-বন্ধু
Tags:
চিঠিপত্র