কেমন আছ স্বাধীনতা?
৭০পেরিয়ে ফোকলা দাঁতের বুড়ি-
নাকি সত্তরের স্বাত্বিকতার সমর্পণ?
প্রতিজ্ঞার আগুনরাঙা ভোড়ের ভাটিয়ালি,
মাদলের মৌতাত-মজা আঠারোর স্ফটিক আর -
নতুন ভোরের ঠিকানা লেখা-
কবিতার বৃষ্টির উন্মত্ততা-
দিয়েছ কারো হাতে?
মনে আছে ইসফাকের চিঠির কথা?
লাহোর-এর জেলখানা থেকে তোমায় লেখা।
শ্রান্ত,রক্তাক্ত এবং
বেহিসেবি আব্দারের ছাড়পত্র এক।
তোমার প্রথম উদযাপনে-
অস্বীকারের কাঁটাতার বদলে দিল-
আমার অহঙ্কারী মানচিত্র,
ভরসার গতিপথ আর-
সম্পর্কের পানসীয়ানা।
উত্তর দাও। অন্তত একবার।
তুমি নিশ্চুপ বলেই--
হায়নার বিষাক্ত নখ,
শকুনের চিৎকার,
কার্গিলের দখলদারি,
অন্ধকার গলির ব্যাস্ততা,
পিন্টুদার মরণ আর -
ঘোষঠাকুমা ছুটে গেছে কোথায়....
তখন-
তুমি আগুন জ্বেলেছিলে মনিকর্ণিকায় ।
পুড়েছিল বনমাতানের ঝাড়,
ঘন্টা বেজেছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্কুলে,
মেষপালকের আধখানা ঘরে-
রোমিও-জুলিয়েট,
সুখ-সাড়ি অথবা -
অমিত-লাবণ্যের-
ঐকান্তিক আত্মীয়তার-
কোজাগরী সুখ।
যেদিন স্বপ্ন দেখে মরেছিল -
রতন,রত্নাবলী আর রবিউলের দল,
"ক""ঙ" আর "চ" এর ঘরে চৈতালীরা-
লিখে গেল ক্লান্ত কৃষ্ণচূড়ার গল্প--
সেদিন --
বাঁশের মাথায়,
হর্ষধ্বনিতে,
"বন্দেমাতরম" চিৎকার আর-
চ্যাটচ্যাটে জিলিপি বা বিস্কুটের আতিথেয়তায়-
কেউ বলে গেল---
তুমি এসেছ।
বিশ্বাস কর --
এখনও শুকনো নদীতে বাণ,
উথাল-পাথাল ডিঙা,
সুরমাদির লাল টিপ আর-
ভেজা শ্রাবণের বিশ্বাস--
এই আঠারোর বুকে,
শুধু তুমি আসবে বলে।
কবে স্বাধীনতা ? কবে?
এ পোড়া দেশের সাঁঝবাতির উপাখ্যানের দিব্যি
আরও একবার-
তোমার-
সত্তুরে আঠারো আসুক নেমে।।