অবয়ব
১।
জীবন থেকে শরীর শব্দটা তুলে নিলে যতটুকু ভগ্নাংশ পড়ে থাকে, তা থেকে আমার দীর্ঘ পৃথিবীযাপনের হিসেব মেলাতে চেও না। আমি এখনও জটিল সব বিভাজ্য সংখ্যার সাথে যোগ করি আদিরসগুলোকে। আমার শৃঙ্খলহীন চাওয়া পাওয়ার অনেক হিসেব গতেবাঁধা জীবনের বীজগাণিতিক সূত্রে মিলে যায়। কখনও মিলতে চায়ও না। অযাচিত উপাখ্যান আঁকি। খসখস করে চারকোল চলে। ক্যানভাসের নীচ জমতে শুরু করে নিটোল রঙের আনন্দগান। আমি বুঁদ হয়ে যাই...
২।
সহজ কথায় মিশে থাকে সহজাত পাওয়ার এক-একটি আখ্যান। স্বচ্ছন্দ হতে শিখি। উগ্র নগরবাদ কর্পোরেট জগতের বাচিক শিল্প সাজায়। বহুমাত্রিক ছবি আঁকি। জানি রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলে ছবিগুলো কখনই চিত্রশিল্প হতে পারে না। আমি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠি। ভয় জমতে থাকে। জটিলতম খোলসের ভিতর গুটি পাকিয়ে বসে থাকি অসহ সময় মেপে। একদিন গুটি কাটবই। বের হয়ে আসব রঙিন পালকে...
৩।
নান্দনিক গতিচিহ্নের সাথে মিশিয়ে রাখি বিজন ভট্টাচার্যের নাটক। আমার একান্ত পরিচিত আত্মভাবনারা ঘুরে বেড়ায় দৃশ্যগহ্বের। রতিপত্র উত্থাপন করি ডেস্কে। টেবিলের ওপারে আমার পরম শ্রদ্ধেয় আমার ভাবনাগুলো নাকচ করতে করতে এক সময় নিজেই রঙ চড়ান। ছবি আঁকেন চিত্রপটে। হাততালি আর হাততালি। আমার প্রদত্ত হাততালির শব্দ তাঁর কর্ণবিদারক হয়ে ওঠে। আমি এখনও পুরোপুরি অনুগত মার্জার হতে পারিনি। আমার পূর্বপুরুষ আমার পূর্বনারী এখনও অজস্র ক্যালশিয়াম জোগান দিয়ে চলেছেন আরও দৃঢ় করতে চাওয়া মেরুদন্ডে...
১।
জীবন থেকে শরীর শব্দটা তুলে নিলে যতটুকু ভগ্নাংশ পড়ে থাকে, তা থেকে আমার দীর্ঘ পৃথিবীযাপনের হিসেব মেলাতে চেও না। আমি এখনও জটিল সব বিভাজ্য সংখ্যার সাথে যোগ করি আদিরসগুলোকে। আমার শৃঙ্খলহীন চাওয়া পাওয়ার অনেক হিসেব গতেবাঁধা জীবনের বীজগাণিতিক সূত্রে মিলে যায়। কখনও মিলতে চায়ও না। অযাচিত উপাখ্যান আঁকি। খসখস করে চারকোল চলে। ক্যানভাসের নীচ জমতে শুরু করে নিটোল রঙের আনন্দগান। আমি বুঁদ হয়ে যাই...
২।
সহজ কথায় মিশে থাকে সহজাত পাওয়ার এক-একটি আখ্যান। স্বচ্ছন্দ হতে শিখি। উগ্র নগরবাদ কর্পোরেট জগতের বাচিক শিল্প সাজায়। বহুমাত্রিক ছবি আঁকি। জানি রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলে ছবিগুলো কখনই চিত্রশিল্প হতে পারে না। আমি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠি। ভয় জমতে থাকে। জটিলতম খোলসের ভিতর গুটি পাকিয়ে বসে থাকি অসহ সময় মেপে। একদিন গুটি কাটবই। বের হয়ে আসব রঙিন পালকে...
৩।
নান্দনিক গতিচিহ্নের সাথে মিশিয়ে রাখি বিজন ভট্টাচার্যের নাটক। আমার একান্ত পরিচিত আত্মভাবনারা ঘুরে বেড়ায় দৃশ্যগহ্বের। রতিপত্র উত্থাপন করি ডেস্কে। টেবিলের ওপারে আমার পরম শ্রদ্ধেয় আমার ভাবনাগুলো নাকচ করতে করতে এক সময় নিজেই রঙ চড়ান। ছবি আঁকেন চিত্রপটে। হাততালি আর হাততালি। আমার প্রদত্ত হাততালির শব্দ তাঁর কর্ণবিদারক হয়ে ওঠে। আমি এখনও পুরোপুরি অনুগত মার্জার হতে পারিনি। আমার পূর্বপুরুষ আমার পূর্বনারী এখনও অজস্র ক্যালশিয়াম জোগান দিয়ে চলেছেন আরও দৃঢ় করতে চাওয়া মেরুদন্ডে...
Tags:
একক কবিতা