সীমিতা মুখোপাধ্যায়
অভিজ্ঞান
১।
আঙুলে জড়িয়ে আছো অভিজ্ঞান,
তিলে তিলে আমি ঢলে পড়ছি চিরন্তন ব্রতকথায়:
বিস্মরণের স্মরণ হয়;
আমাকে মনে করো, পাহাড়-পুত্র-
পাঠাও তোমার বারিষনামা!
যুগে যুগে ফলবতী হয় কণ্ব-তপোবন,
সুগন্ধ হয় এই মৃগনাভী,
জাল ফেলে ধীবর কন্যা তুলে আনে তোমায়-
ফিরে এসো দুর্বাসা-অভিশাপে,
ছুঁয়ে যাও মিথ্যে অভিলাষে-
তোমার নাম কাউকে বলবো না!
১।
আঙুলে জড়িয়ে আছো অভিজ্ঞান,
তিলে তিলে আমি ঢলে পড়ছি চিরন্তন ব্রতকথায়:
বিস্মরণের স্মরণ হয়;
আমাকে মনে করো, পাহাড়-পুত্র-
পাঠাও তোমার বারিষনামা!
যুগে যুগে ফলবতী হয় কণ্ব-তপোবন,
সুগন্ধ হয় এই মৃগনাভী,
জাল ফেলে ধীবর কন্যা তুলে আনে তোমায়-
ফিরে এসো দুর্বাসা-অভিশাপে,
ছুঁয়ে যাও মিথ্যে অভিলাষে-
তোমার নাম কাউকে বলবো না!
২।
এই যে রাংচিতার বেড়া, বর্ষা-হলুদ বিকেল-
এ তো সবই তোমার মতো খাম-খেয়ালি মায়া;
যেখানে "দম ঘুটকু", হরিয়াল ডাকে, ঘুঘু কাঁদে,
মৃত্যু-ঘোড়ায় চড়ে তুমি পেরিয়ে যাও
সমস্ত আদর...
আমিও অপেক্ষা-নীল মাদকতায়
হেঁটে হেঁটে ফিরি এক পদ্মপাতা থেকে জলে-মুক্তায়,
খুলে ফেলে দিই অভিজ্ঞান-অঙ্গুরী:
না-মুহূর্ত হয়ে যাও...
উল্কাদের চিঠি-খেলা
তোমার নন্দন-কাননে যে সকল উল্কারা
খেলা করে, শাশ্বতী-নক্ষত্রেরা-
তুমি দেখতে চাও তাদের হংসিনী-গ্রীবা,
ক্ষীণ-কটি, সুহাসিনী আঁখ;
একে একে ডেকে নাও তাদের, জড়িয়ে থাকো বহুক্ষণ,
তোমার আড়-বাঁশি, চিঠি-চিঠি খেলা,
পাখি-ওড়ানো যত স্বপ্ন-
আমার আকাশ ভর্তি ফটিক-জল,
ছোট্ট একটা কাগজের নৌকা
ভাসিয়ে দিলাম চাঁদের আলোয়-
সুখে থেকো!
চুপ-বারান্দার গল্প
শাঁখের করাতে কেটে কেটে যাচ্ছে পাঁজরের হাড়-
খিলখিল করছে চুপ-বারান্দা,
রোদের সাথে কানামাছি খেলছে চিলেকোঠা
আর ওই ঠা ঠা পাঁচিল, শ্যাওলা গায়ে, দেখতে দেখতে
কেমন বুড়ো হয়ে গেল...
আমিও তোমার জন্মভূমির নাম দিলাম- সাতক্ষীরা,
নদী হল কীর্তনখোলা, তুমি হলে মুর্শিদ আমার!
আমাকে তোমার ঘ্রাণে ডুবিয়ে নাও,
চোর-পুলিশ খেলুক আমাদের ছোটবেলা-
হেরে যাবো, কথা দিলাম, বন্ধু আমার...
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন