বাইরের ঝড়ো হাওয়ারা আর পারেনা আমায় ছুঁতে
আমিত্ব আজ শতাব্দী পুরোনো ধ্বংসনগরী যেন,
যার মাথার উপর দিয়ে সমগ্র পৃথিবীর ঝড় বয়ে গেলেও
নগরীর বুক ভেদ করতে পারেনা।
গত কোনো জন্মের অলিখিত শব্দেরা
ভর করে আমার উপর,
এই নিষিদ্ধ উপত্যকায় অথচ
কি উদাত্ত হাতছানি তোমার!
আমার যে চোখ ছিল, তোমার কবিতার আকাশ
সেখানে আজ মেঘ করেছে ভীষণ,
তীব্র গর্জনে ভেতরের মারণাত্মক ঢেউয়েরা
বাইরে এসে বিদ্রোহ বাঁধে,
কবিতারা ছুটতে থাকে দেহ থেকে দেহান্তরে।
যে আকাশেই নীড় খুঁজে
সেখানেই নিদারুণ ঝড়ের অবক্ষয়!
চরম মুহূর্ত! চলো এই শূন্যতায়
আমাদের কবিতার আকাশ তৈরী করি,
অপ্রকৃতিস্থতার সাথে সন্ধি করতে করতেই
যে আমাদের মিলিত হওয়া।
শারীরিক প্রণয়ের ব্যবহার শেষে
শবের মত পড়ে থাকা বিছানায়
যা কিছু পরিত্যক্ত থাকে অবশিষ্ঠ,
তারাই নির্বাসন থেকে ফিরে
ভুবনব্যাপী স্তব্ধতায় শব্দের প্যারেক গাঁথে।
কবিতার সব রূপকেরা, সব ছবিরা
ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে অনতিপ্রদোষের মধ্যে-
ক্রমশ জীবনপারাবারে নিশীথের দ্বিপ্রহর নামবে
আমরা মিলিত হবো রুদ্র
ভেতরের মাইল ব্যাপী নিস্তব্ধতায় তখন শুধু
ছুঁয়ে যাবে আমাদের সুদীর্ঘ নিশ্বাস,
আর সেদিন, তুমি বেঁচে উঠবে রুদ্র...
সেদিন আমরা অবিনশ্বর হবো...