গ্রীষ্মের ভূমিকালেখা দুপুর মলাট খুলে বসেছে...
প্রথম লাইনের ঢালুতে ধৈর্যদন্ড হয়েছে
টেলিগ্রাফ-পোষ্ট, হাঁটু ডুবে আছে বেজন্মা ঝোপঝাড়ে।
তাদের শিকড়-বাকড়ের অভিসন্ধি জেনে ফেলে
ফসলের মাঠ যেন তারপর দৌড় এঁকে দিয়েছে কর্তন-বর্ণে।
ভূমিকা লেখার অজুহাতে সেসব ক্ষতবর্ণকে
শুকিয়ে নেবার অনুরোধ জানিয়ে দিচ্ছে দুপুর----।
তার ছড়ানো দু'হাতে খুঁটি পুঁতে তাবু টাঙিয়েছে
খরতা,ভেতরে উষ্ণ হাওয়া যেন কলে-পড়া ইঁদুর----
স্ফীতকায় তাবুর নিচে দুপুরের বাকি পৃষ্ঠাদের
ফরফর-ক্লান্তি শব্দকুচি মেখে নেতিয়ে রয়েছে...।
তাদের উপরে লাট্টুরর মতো দু'পাক ছায়া ঘুরিয়ে
উপসংহারের দিকে উড়ান গুটিয়ে উড়ে যায়
রোদব্যথিত একটি অভিমানী চিল----
মলাট-প্রচ্ছদের ওপর দুপুর ঝুলিয়ে দিয়ে
টেলিগ্রাফ-তার নুয়ে গেছে ফিঙের স্মৃতির ভারে...