পৃথা রায় চৌধুরী

পৃথা রায় চৌধুরী
 কামড় 

ন্ততঃ দোষারোপ ক্লান্তকে দোসর করেনি
সমস্ত পারম্যুটেশান কম্বিনেশানকে বুড়ো আঙ্গুল
দেখিয়ে,
শুধু "তফাৎ যাও"!

খিদে পায় হঠাৎ করে, রোগ ক্ষমা করো
শক্ত লাগে, নরম ছিঁড়ে দেখি,
কেন্দ্রীভূত শ্বাপদ।

পাপড়ি নষ্ট হেঁচকি বিভাজিকায় অভ্যন্তর
মেনে না নেওয়া পুরুষ, নারী, ক্লীব?
প্রাণনাথের সংজ্ঞায়,
কই কাঁটা প্রাণ!

রাশ টান, রাশ ধর, রাশ ধ্যানজ্ঞান
একরাশ জীবনমুখী লজ্জায়।


 দিও কিন্তু 

ই যে আমায় চেনো, জানো, বোঝো
এই যে ভাবো মেয়েমানুষ, বুদ্ধিহীন
এই যে আমার দুর্বলতা খোঁজো
ভয়ও পাও,
জানো, ভালোবাসার ফাঁসে, অবস্থা সঙ্গীন।
দমবন্ধ হবার আগে
মুক্তির উপহার দেবো সুদৃশ্য মোড়কে,
শুধু বদলি উপহার চাই...
পরের বার চিনে নিও
ভাগহীন দিও একটা সিনেমা, সস্তার সেসব পছন্দ
যা দেবে বলেও...
পরের বার শুধু আটচল্লিশ ঘন্টা দিও
বিনা বাঁটোয়ারায়,
শুধু সত্যির ধাপে পা রেখে,
তারপর?
এবারের মতোই চলে যাওয়া,
এবারের মতোই মুক্তি...
যুক্তি... নেই।



 মহামানবের প্রতি 

সীমাহীন তাকে উত্তরসূরি ডেকে
ছোট্ট মুঠি হৃদয় টুকরো করেছো
প্রতি ঝলক রক্তে তার ভেসে গেছে চোখ
এতটুকু মাথা ঝাঁকিয়ে উগরেছে আগুন
তবু চেয়েছে তোমাকেই।

পাথর পোড়ে না কচি তেষ্টায়
মাতৃত্ব অসহায় দেখে,
গর্ভজ ঢেলে দেয় কালাহারির প্রখরতা
দৈনন্দিনের ফোস্কায়।

খামখেয়ালি, তোমার জন্মজন্মান্তর হোক
ঔরসহীন... গর্ভহীন
কোনো জন্মকে অভিসম্পাত করে প্রশ্ন তুলো
তবু কেন হেন সন্তানশোক।

চেটে নিও দুচোখে
কোনো প্রাণঘাতী ছেলেবেলা,
কোনো নিষ্পাপ বন্ধনেই ফাঁসি দিও,
কোনো মায়ের কোলভাসা নাড়িছেঁড়া অবশেষ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.