রহিমা খাতুন
নজরুল তুমি
বাবা বললেন, তুমি গেছো আটাত্তরে
ওপারের দেশে।
আমি তো অবাক!
আর বছর দশেক আগে যদি আসতাম,
তোমায় পেতাম -
আকাশে, বাতাসে,সবুজে শ্যামলে,
হলেই বা তুমি পড়শী দেশের কবি,
জন্ম তো আমার মায়ের কোলেই,
যার নাম চুরুলিয়া।
তোমাকে কত সাধি,
নত শিরে জানাই, আমার এক বিশ্ব হিয়েময়
শ্রদ্ধা আর স্নেহাশ্রিত আবেগ।
যদি একবার দেখতে পেতাম -
মনের গহীন কোণে,
তোমার মনুষাগ্নির একটা স্ফুলিঙ্গ নিশ্চিয় আসতো সবেগে,
নিজেকে মানুষ গড়ার মন্ত্র পেতাম,
তুমি যে দুঃখুমিঞা।
যখন তুমি গান ধরতে হঠাৎ,
সাদা জনমানস হয়ে উঠতো;
রঙিন,সুন্দর, পবিত্র,
আর আনন্দ সাজিয়ে দিত মেহেফিল।
মানবতার আলোক ছড়াতো দিকবিদিক,
কেমনে ধরতে অমন তান?
কেমনে ডাকতে তাল আর লয়কে?
আজ শুনতে চাই প্রাণ-পিয়া।।
কি দেখেছিলে সেদিন তুমি?
বুলবুলকে দেখতে গিয়ে,
সব থেমে গেল,
থমকে গেল স্বর,
তুমি নিলে মৌনতা,
তোমা ভক্তদের দিল শূন্যতা।
যদি একদিন ফিরে আসো তা বলতে,
কত শত প্রাণ, নব প্রাণ ফিরে পাবে,
যে বীণার তরে তান তুলেছিলে,
ফের হবে নব নব,
সব ঘুঁনেরা হবে সমাধিস্থ,
হবে সুরের ঐক্যতান, সব সুন্দরে,
তোমাতে মহিয়া।
বাবা বললেন, তুমি গেছো আটাত্তরে
ওপারের দেশে।
আমি তো অবাক!
আর বছর দশেক আগে যদি আসতাম,
তোমায় পেতাম -
আকাশে, বাতাসে,সবুজে শ্যামলে,
হলেই বা তুমি পড়শী দেশের কবি,
জন্ম তো আমার মায়ের কোলেই,
যার নাম চুরুলিয়া।
তোমাকে কত সাধি,
নত শিরে জানাই, আমার এক বিশ্ব হিয়েময়
শ্রদ্ধা আর স্নেহাশ্রিত আবেগ।
যদি একবার দেখতে পেতাম -
মনের গহীন কোণে,
তোমার মনুষাগ্নির একটা স্ফুলিঙ্গ নিশ্চিয় আসতো সবেগে,
নিজেকে মানুষ গড়ার মন্ত্র পেতাম,
তুমি যে দুঃখুমিঞা।
যখন তুমি গান ধরতে হঠাৎ,
সাদা জনমানস হয়ে উঠতো;
রঙিন,সুন্দর, পবিত্র,
আর আনন্দ সাজিয়ে দিত মেহেফিল।
মানবতার আলোক ছড়াতো দিকবিদিক,
কেমনে ধরতে অমন তান?
কেমনে ডাকতে তাল আর লয়কে?
আজ শুনতে চাই প্রাণ-পিয়া।।
কি দেখেছিলে সেদিন তুমি?
বুলবুলকে দেখতে গিয়ে,
সব থেমে গেল,
থমকে গেল স্বর,
তুমি নিলে মৌনতা,
তোমা ভক্তদের দিল শূন্যতা।
যদি একদিন ফিরে আসো তা বলতে,
কত শত প্রাণ, নব প্রাণ ফিরে পাবে,
যে বীণার তরে তান তুলেছিলে,
ফের হবে নব নব,
সব ঘুঁনেরা হবে সমাধিস্থ,
হবে সুরের ঐক্যতান, সব সুন্দরে,
তোমাতে মহিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন