কবিতা উৎসবঃ দুর্গাপুর
বর্ষবরণের ধূমধাম আর মিষ্টিমুখের রেশ তখনো মিলিয়ে যায়নি, এরমধ্যেই আমরা কবিতাপ্রেমীরা এমন সুন্দর এক কবিতা উৎসবের সাক্ষী হয়ে থাকলাম যাহা মনের কোণায় এই রেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকবে। হ্যাঁ, আমি বলছি শিল্পনগরী দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এর 'সৃজনী' প্রেক্ষাগৃহের বিপিনচন্দ্র পাল সভাগৃহে আয়োজিত গত ১৬ই এপ্রিল ২০১৭ তে অনুষ্ঠিত 'কবিতা উৎসব' এর কথা।

দুর্গাপুরের 'কবিতা উৎসব' এর সূচনা করেন 'মহাপৃথিবী' পত্রিকা সম্পাদক শম্ভু রক্ষিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবি কমল চক্রবর্তী, রঞ্জিত সিংহ, ধীমান চক্রবর্তী, উমাপদ কর, বিকাশ গায়েন, অংশুমান কর... সহ এই সময়ের আরও অনেক সম্মানিত কবিরা। তাঁদের সমৃদ্ধ বক্ত্যবের পর হয় পুরস্কারপ্রদান। পুরস্কারপ্রাপকরা হলেন সুদূর আন্দামানের কবি জ্যোতির্ময় রায় চৌধুরী, অনিন্দ্য রায়, রঞ্জিত কুমার সরকার, রাজকুমার রায় চৌধুরী। তাঁরা গ্রহণ করলেন কবি সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিকেত পাত্র, মৃণাল বণিক ও দিলিপকুমার মুখোপাধ্যায় স্মৃতি সম্মান। শিল্পাঞ্চলের এই সমস্ত কৃতী কবিদের স্মৃতিচারণায় ছিলেন মানবেন্দু রায়, স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
সঞ্চালনার দায়িত্বে তরুণ কবি রাজীব ঘাঁটির সুযোগ্য সঞ্চালনায় একে একে কবিতা পাঠ করে চললেন- নিসৃংহমুরারি দে, অরূপ পান্তী, প্রণব পাল, ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণ দে, কল্পনা মিত্র, বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, কুমারেশ তিওয়ারি, মুক্তি রায় চৌধুরী, ঠাকুরদাস চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় রায় চৌধুরী, অনিন্দ্য রায়, রঞ্জিত সিংহ, ধীমান চক্রবর্তী, উমাপদ কর, বিকাশ গায়েন, অংশুমান কর... সহ আরও বিশিষ্ট কবিরা।
মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পর পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে দ্বিতীয় পর্যায়ে কবিতা পাঠ করলেন শ্যামল শীল, পুষ্প কর, দীপশিখা পোদ্দার, জয়ন্ত দে, উৎপল মুখোপাধ্যায়, অশোক মজুমদার অরুপম মাইতি... এবং আরও অনেকে। মানবেন্দু রায়, ব্রজকুমার সরকার, সুশীল ভট্টাচার্য, স্নেহাশিস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ আয়োজকদের নিরলস প্রচেষ্টায় সর্বাঙ্গীণ সুন্দর অনুষ্ঠানটি শেষ হয়ে এলেও, মনের কোণে বেজে যাচ্ছে এই সময়ের কবি অংশুমান করের অদ্ভুত সুন্দর একটি লাইন-"দিনের শেষে একান্তে অক্ষরকর্মীকে অক্ষরের কাছে নত হতে হয়"।
প্রতিবেদক
সুমিত্রা পাল
দুর্গাপুর
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন