এলো রে ওই ফাগুন এলো
এলো রে ওই ফাগুন এলো দখিন দুয়ার ধরে
বনে বনে জাগল সারা , ডাকল কোকিল ভোরে ।
সাত সকালেই পলাশ এলো আগুনে রঙ মেখে
পাশের বাড়ির জামকলিদের শিমুল গেল ডেকে ।
উঠল জেগে আচম্বিতে ঘুমন্ত আম কলি
সাজিয়ে নিল খোঁপায় খোঁপায় তরুণ মুকুলগুলি ।
কৃষ্ণচূড়া চেতন পেয়ে ধড়মড়িয়ে উঠে
সবুজ চাদর সরিয়ে পাশে বসল শাখায় ফুটে ।
রাধার কাছে খবর যেতেই লজ্জা পেল ভারি
সখা যে তার বসে আছে অপেক্ষাতে তারি !
পরল সারা দারুন তাড়া ছিঃ ছিঃ একি কান্ড !
সখা যদি না ধরে আর ধৈর্য এক দন্ড !
সরিয়ে সবুজ পর্দাটাকে মাখল আলোর রঙটা
এক নিমেষেই বদলে গেল অঙ্গরূপের ঢংটা ।
পরনে তার হলুদ শাড়ি সবুজ রাঙ্গা পাড়
তার ছোঁয়াতে উঠল রেঙ্গে বিশ্ব চরাচর ।
আর কি ঘুমায় মৌমাছিরা , ঘুমায় প্রজাপতি
খবর পেতেই পাখায় তাদের জাগল ঝড়ের গতি ।
সঙ্গ দিল দক্ষিণ পবন বেগ গেল তাই বেড়ে
এক লহমায় হাজির সবাই রঙের তেপান্তরে !
অশোক ছিল গভীর ঘুমে লম্বা পাতার নীচে
মৌমাছিরা সবার আগে লাগল যে তার পিছে ।
বাঁশ বাগানের উলুত ধ্বনি মৌমাছিদের বোলে
শীতের র্যােপা সরিয়ে অশোক তাকাল চোখ মেলে ।
দৃষ্টি যখন পড়ল গিয়ে মাটির সবুজ ঘাসে
দেখল অশোক ঘাসগুলো সব ঝলমলিয়ে হাসে ।
ঘাসে ঘাসে উঠল ফুটে হরেক রকম ফুল
ফাগুন মেশা রঙের নেশায় ধরণী আকূল ।
Tags:
কবিতা