দেখো দেখো শীতের কুয়াশা সরিয়ে
আড়মোড়া ভাঙছে বছরের প্রথম পলাশ,
সময়ের এই বয়:সন্ধিক্ষণে
কিছু স্বর নামিয়ে রেখো তোমার আরাম-কেদারায়;
আরেকটু জড়িয়ে থাকার লোভে
কিছু সুর ধোঁয়া তুলুক তুমুল বেহালায়,
শব্দ-ব্যকুল কিছু না-মুহূর্তেরা দুলে উঠুক
গোলাকার কোনও গানে-
আমরা হারিয়ে যাবো, হারিয়ে যাবে আমাদের
না-চাওয়া, না-পাওয়া...
'না চাহিলে যারে পাওয়া যায়'!
না-মুহূর্তের ঘুড়ি
নদীর বুকে এলিয়ে পড়েছে মরা শীতকাল,
শহরতলি পায়ে পায়ে জেগে উঠছে
না-লেখা এক চিঠি,
যে ঘুড়ির আর ওড়া হবে না কোনোদিন,
জং-ধরা অ্যান্টেনায় সে আজ
কালের কঙ্কাল;
সব বুঝেও সময় যে আজ বড় অসময়...
নেমে এসো দুর্লভ নভোচারী,
বৃক্ষ রোপণ করে যাও আমার নাভিতে-
শরীরে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর...
একবছর আগের একটি রাত
মায়ারাত ঘুঙুরের মতো হেঁটে যায়
রাতবিড়ালের পায়ে পায়ে,
অজানা উল্লাসে ডেকে ওঠে মোরগ
বিলীন হয়ে আসা কুকুরের কান্নায়;
শুকতারা জেগে ওঠে রাত্রি-কাতর আকাশে,
ওই বুঝি কী যেন সাদা ছায়া সরে গেল
এক টালির চাল থেকে আরও গভীর
কোনও অসুখের দিকে...
কী চেয়েছিলাম আমি, কী চেয়েছো তুমি-
এসব টালবাহানার ঘুমের ঘোরে
এক বছর আগের অটো ছেড়ে দেয়
এক বছর পরের কোনও ভোরের উদ্দেশ্যে!
অবশেষ
আমার চলে যাওয়াগুলো
আমার সরে যাওয়াগুলো
আমি দেখছি
আর ভেসে ভেসে যাচ্ছে চাঁদের সুবাস,
আইভিলতা, শ্যাওলা-পাঁচিল আর ওই রাস্তানদী-
আঙুলে আঙুল জড়িয়ে যাচ্ছে গান:
'মন তুই করলি একি ইতরপনা'-
সেসব ধুলো ঝরে গেছে শীতের পাতায়,
জানতে পারোনি...
Tags:
একক কবিতা