তুমি আমার হাতের ওপর থেকে
তুলে নিয়েছ হাত
আমার যখন বিচার চলছিল
তুমি মিথ্যে স্বাক্ষী দিয়েছিলে
তাই ব’লে আর কেউ প্রেমের কবিতা লিখবে না?
খুকুদি’র প্রেমিক গোপনে বিয়ে করেছিল
তার এক দূর সম্পর্কের কাকাতো বোনকে,
খুকুদি কেঁদেছিল খুব,সে আর বিয়েই করেনি
তাই ব’লে আর কেউ প্রেমের কবিতা লেখে না?
তনুশ্রী অমলকে বলেছিল—
‘আমার তো অসংখ্য বয়ফ্রেণ্ড,
কাকে বাদ দিই বলোতো, তার চেয়ে
তুমিই বাদ হয়ে যাও...’
অমল একটা খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে
ভিজেছিল একটা গোটা বর্ষাকাল
তাই ব’লে কেউ কী আর প্রেমের কবিতা লিখছে না?
তুমি ভালোবাসার কেউ নও –
তোমার ডানহাতের তালু বিশ্বাস করে না বাঁহাতকে
প্রখর গ্রীষ্মে তুমি কখনো জল ঢালনি গাছের গোড়ায়
শরীরী সুগন্ধ যতই থাকুক,
শুকনো ডালে একটা কুঁড়িও ফোটাতে পারনি
তবু তাকিয়ে দেখ,সবাই লিখছে প্রেমেরই কবিতা –
তোমার অপেক্ষায় কেউ হাত গুটিয়ে ব’সে নেই
অসুখ
অসুখ থেকে সেরে ওঠার পর
প্রেসক্রিপশনের সাথে আড়ি ক’রে দিই,
হাসপাতালের দেয়াল খিলান গোম্বুজে
মোষের শিং-এর মত টাঙিয়ে রাখি
এক একটি ডাক্তারী চোয়াল,
অসুখ থেকে সেরে উঠলে
খুব স্পষ্ট হ্য় সেবিকার স্তন ঠোঁট
চোখে চোখ ফেলে বলতে ইচ্ছে হ্য় –
‘কাল সারারাত বৃষ্টি হ’লো খুব’,
অসুখ থেকে সেরে উঠে, আমি
সারা মুখে মেখে রাখি
আমার সবক’টি ডাকনাম
বুকের ভেতরে দড়ি বেঁধে বালতি নামালে
আজও উঠে আসে ঘাসের শেকড়,পচা শাড়ি
আথবা একটি দুটি শামুকশিশু –
বালুর ওপরে জল দিয়ে ঢেকে রাখি
বালুর নিজস্ব শুষ্কতা ...
অসুখ কখনো সারে?