রিংকু কর্মকার চৌধুরী

রিংকু কর্মকার চৌধুরী
 শীতঘুম 

শীত চলে গেছে।
ধ্বংসাবশেষের মত
টুপি, সোয়েটারের ডাঁই।
আলমারী থেকে পুরোনো
মোজাদের ছুটি দেওয়া হল।
এবার থরে থরে গুছিয়ে নেওয়া
হবে মহার্ঘ শাড়ি, শালোয়ার।

এত বছর ধরে যত্নে রাখা
নেপথলিন গন্ধ, উষ্ণতাদের
ভেজা শরীর মেঝেতে রগড়ে
দিচ্ছে বিগত বসন্তের বৃদ্ধা।

একজোড়া মোজা আমাকে
আদর করেছিল,
শরীর জুড়ে তখন শীতকাল।


 ভালোবাসা দিবস 

মাঝারী শীতে ছাদের উপর
এলোমেলো শ্রীজাত, শঙ্খ ঘোষ।
যুবতীর স্টোল আর নরম
একজোড়া চোখ,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে মাদুরে।

যুবকটি যাওয়ার সময়
গুনে গুনে সব কিছু রেখে
যায় প্রতিবার।

প্রত্যেক ফুল ফোটানো বসন্তের
আগে শীত স্নান সেরে নেয় প্রেম।

ছাদের মাদুরে গত পাঁচ বছরের একাকীত্ব



 দাম্পত্য  

এভাবেই একেক দিন ভোর হয়ে যায়
দু চোখে লেগে থাকা ঘুম তখনো
মশারীর খুটে।
চা করি। ধোঁয়া ওঠা চায়ে পরিতৃপ্তির ঠোঁট চুবিয়ে দিই।
তুমি পাশ ফিরে শুয়ে থাকো।
বিলি কাটি চুলে, গাল ছুঁয়ে দিই।
হাই তুলে ডানার মত মেলে দাও হাত।
ক্লান্ত পাখীর মত গুঁজে দিই নিজেকে, ভালোবাসায়।

সূর্যোদয় দেখি।

আমাদের চারকোনা মুঠোফোনে
এভাবেই বেঁচে থাক,সাজানো সংসার।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন