বসন্ত
আড্ডাখানায় একে একে সবাই জড়ো হলো।
ফাগুন মাস। এই সময়ে ওরা সবাই আসে,
ধরতে গেলে, এক্কেবারে নিয়মটিয়ম মেনে।
কিছু রঙের খেলা করে, কিছু কোলাহলও।
রঙবাজিতে কৃষ্ণচূড়ার চিরকালীন দখলদারি।
পলাশ অশোক ওরাও পিছপা নয় তাই বলে
লালের মধ্যে রাধাচূড়া দেয় হলুদের কিছু ছিটে,
রাস্তার ধারে হইহই রঙে, বেমক্কা হয় বাড়াবাড়ি।
কোকিলও ঠিক এসে গিয়েছে ঘড়ির কাঁটা মেনে
কুহু কুহু আওয়াজ আসে কানের কাছে মুহুর্মুহু,
বাতাস এসে তালে তালে ফুলগুলোকে নাচিয়ে বেড়ায়
রঙ আওয়াজের হট্টগোলের আড্ডাটাকে সবাই চেনে।
আড্ডাটাতে ঢুকেই সবাই হুড়মুড়িয়ে খুঁজতে থাকি,
তোমরা সবাই এসে গেছো, কিন্তু ওহে, বসন্ত কই?
হো হো হাসে কৃষ্ণচূড়া, হি হি হাসে অশোক পলাশ,
কোকিল বলে, আমরাই তো, দোলে যখন আবীর মাখি।
লুডো
সামলিয়ে! দুই ছক্কা পড়ে গেছে দানে,
এবারের চাল ফেলো ভারী সাবধানে।
দেখে নাও কোথায় কি আছে, কোন খোপে কার পাকা ঘুঁটি,
নিশ্চিত উঠে যাবে বলে কোন রঙ শেষ ঘরে যায় গুটি গুটি,
সবটা জরিপ করো।ভালো করে গুনে দেখো কাকে খাবে পুটে,
দুই তিন চার পাঁচে কে যাবে ফুটে,
সাপটিয়ে খেয়ে নিয়ে চৌখুপী গারদে দেবে সটান চালান,
আবার বেরোতে হলে ফেলতে হবে ফের ছক্কার দান।
ডাইসটা নাড়োচাড়ো, প্রবল ভাবতে থাকো কোন রঙে লেখা কত লাভ আর ক্ষতি,
কোন কোন ঘুঁটি বাঁশ দিয়েছে সম্প্রতি, সেটাও খেয়ালে রেখো তোমার হিসাবে,
এবারে তোমার চাল, চান্স পেলে তুমি তার পাকা ঘুঁটি খাবে,
সেটাই তো স্বাভাবিক। খেতে যদি নাও পারো,
ভিনরঙা ঘুঁটিদের আটকাতে ব্যবস্থা করা যাবে আরো, নিজের রঙের সাথে ঘু্ঁটি জোড়া করে,
ডাইসটা নাড়ো জোরে, খটাখট চাল ভাবো মনের ভেতরে।
বাকি সব ঠিক আছে, ঘুঁটিদের নাড়াচাড়া তোমার তো হাতে,
যদি না কপালফেরে, চাল পচা হয়ে যায় তিন ছক্কাতে।
বাকি গল্পটা
আজ তবে এইটুকু থাক, বাকিটুকু বলে দেবো আবার নিভৃত কোনো গোধুলিসময়ে,
আজকে ফিরতে হবে। কিছু কথা বাকি থাক, মোড়ক খুলতে তার হবে রয়েসয়ে।
তদুপরি, আমি তো খোলসা করে বলেছি তোমাকে,
কিভাবে ইচ্ছেপাখি তোমার ছোঁয়াতে ডানা ঝাপটাতে থাকে,
কি ভাবে স্বপ্নঘুড়ি আসমানে গিয়ে ভাবে কবে তুমি গুটাবে লাটাই,
আজকে সময় পেয়ে সন্ধে সাক্ষী রেখে তোমাকে বলেছি পুরোটাই।
অবশ্য স্থানে স্থানে কিঞ্চিৎ চেপে গেছি কিছু ছুপকথা,
গল্প নিটোল রাখা ভালো;
কিছু বলে দেওয়া কথা আগামীতে হতে পারে দারুণ ধারালো,
সুতরাং, সাধু সাবধান। প্রেমে ও সমরে নাকি নিয়ম কানুনে থাকে কমবেশী ফাঁক,
আজ তাই স্বপ্নের নিদাগ কাহিনী বুনি, হোঁচটের গর্তরা রাখা ঢাকা থাক।
যদি আশু আগামীতে জীবনের সুতোগুলো জমাট গল্প বোনে আমাদের কোনো,
তখন বলবো এসে, কাহিনী হয়নি শেষ, এইবার পাশে বসে বাকিটুকু শোনো....
আড্ডাখানায় একে একে সবাই জড়ো হলো।
ফাগুন মাস। এই সময়ে ওরা সবাই আসে,
ধরতে গেলে, এক্কেবারে নিয়মটিয়ম মেনে।
কিছু রঙের খেলা করে, কিছু কোলাহলও।
রঙবাজিতে কৃষ্ণচূড়ার চিরকালীন দখলদারি।
পলাশ অশোক ওরাও পিছপা নয় তাই বলে
লালের মধ্যে রাধাচূড়া দেয় হলুদের কিছু ছিটে,
রাস্তার ধারে হইহই রঙে, বেমক্কা হয় বাড়াবাড়ি।
কোকিলও ঠিক এসে গিয়েছে ঘড়ির কাঁটা মেনে
কুহু কুহু আওয়াজ আসে কানের কাছে মুহুর্মুহু,
বাতাস এসে তালে তালে ফুলগুলোকে নাচিয়ে বেড়ায়
রঙ আওয়াজের হট্টগোলের আড্ডাটাকে সবাই চেনে।
আড্ডাটাতে ঢুকেই সবাই হুড়মুড়িয়ে খুঁজতে থাকি,
তোমরা সবাই এসে গেছো, কিন্তু ওহে, বসন্ত কই?
হো হো হাসে কৃষ্ণচূড়া, হি হি হাসে অশোক পলাশ,
কোকিল বলে, আমরাই তো, দোলে যখন আবীর মাখি।
লুডো
সামলিয়ে! দুই ছক্কা পড়ে গেছে দানে,
এবারের চাল ফেলো ভারী সাবধানে।
দেখে নাও কোথায় কি আছে, কোন খোপে কার পাকা ঘুঁটি,
নিশ্চিত উঠে যাবে বলে কোন রঙ শেষ ঘরে যায় গুটি গুটি,
সবটা জরিপ করো।ভালো করে গুনে দেখো কাকে খাবে পুটে,
দুই তিন চার পাঁচে কে যাবে ফুটে,
সাপটিয়ে খেয়ে নিয়ে চৌখুপী গারদে দেবে সটান চালান,
আবার বেরোতে হলে ফেলতে হবে ফের ছক্কার দান।
ডাইসটা নাড়োচাড়ো, প্রবল ভাবতে থাকো কোন রঙে লেখা কত লাভ আর ক্ষতি,
কোন কোন ঘুঁটি বাঁশ দিয়েছে সম্প্রতি, সেটাও খেয়ালে রেখো তোমার হিসাবে,
এবারে তোমার চাল, চান্স পেলে তুমি তার পাকা ঘুঁটি খাবে,
সেটাই তো স্বাভাবিক। খেতে যদি নাও পারো,
ভিনরঙা ঘুঁটিদের আটকাতে ব্যবস্থা করা যাবে আরো, নিজের রঙের সাথে ঘু্ঁটি জোড়া করে,
ডাইসটা নাড়ো জোরে, খটাখট চাল ভাবো মনের ভেতরে।
বাকি সব ঠিক আছে, ঘুঁটিদের নাড়াচাড়া তোমার তো হাতে,
যদি না কপালফেরে, চাল পচা হয়ে যায় তিন ছক্কাতে।
বাকি গল্পটা
আজ তবে এইটুকু থাক, বাকিটুকু বলে দেবো আবার নিভৃত কোনো গোধুলিসময়ে,
আজকে ফিরতে হবে। কিছু কথা বাকি থাক, মোড়ক খুলতে তার হবে রয়েসয়ে।
তদুপরি, আমি তো খোলসা করে বলেছি তোমাকে,
কিভাবে ইচ্ছেপাখি তোমার ছোঁয়াতে ডানা ঝাপটাতে থাকে,
কি ভাবে স্বপ্নঘুড়ি আসমানে গিয়ে ভাবে কবে তুমি গুটাবে লাটাই,
আজকে সময় পেয়ে সন্ধে সাক্ষী রেখে তোমাকে বলেছি পুরোটাই।
অবশ্য স্থানে স্থানে কিঞ্চিৎ চেপে গেছি কিছু ছুপকথা,
গল্প নিটোল রাখা ভালো;
কিছু বলে দেওয়া কথা আগামীতে হতে পারে দারুণ ধারালো,
সুতরাং, সাধু সাবধান। প্রেমে ও সমরে নাকি নিয়ম কানুনে থাকে কমবেশী ফাঁক,
আজ তাই স্বপ্নের নিদাগ কাহিনী বুনি, হোঁচটের গর্তরা রাখা ঢাকা থাক।
যদি আশু আগামীতে জীবনের সুতোগুলো জমাট গল্প বোনে আমাদের কোনো,
তখন বলবো এসে, কাহিনী হয়নি শেষ, এইবার পাশে বসে বাকিটুকু শোনো....
সুচিন্তিত মতামত দিন