শুভজিৎ নন্দী

মুক্তি
দুপুরের রোদটা ব্রিজ বেয়ে আমায় চুমু খেতে খোঁজে। তাই ইন্দ্রিয়গুলো দস্তানায় ঢেকে বন্ধক রাখা। চিরবসন্ত এসে ছুঁয়ে যায় গাল-গলা-ত্বকে। লাল-সাদার অভ্যর্থনা ছাড়িয়ে পা পিছলে কিছুটা ভাসিয়ে দিলাম নিজের ভেলা..

শূন্যতা বেয়ে কমলা ছুটে যায়, চুইয়ে যায়। আমার প্রতিটা শিরাকে সৌরজগতের শেষ শালুক ফুলে পরিণত করে। টবের মতো মরার মাথা পেড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ভয় লাগছে না, একটা সিঁদুরে বিষণ্ণতা আঁশটে গন্ধ ছাপিয়ে খুঁজে পাচ্ছে তার প্রতিফলনকে।

দুলে উঠছে আমার ছায়া। ব্যথায় তারা দাঁড়াতে পারছে না। কি অস্থির! অসহ্য যন্ত্রণায় আমার মাঝি ডুব দিয়েছে এক-বুক মুক্তির জড়তায়। আমি জীবন খুঁজছি, হারিয়ে আসা দিন না। এগিয়ে যাচ্ছি এক অজানা ভবিষ্যতের সাথে আত্মীয়তা রক্ষায়। কাল নিমতন্ন আছে, মৃত্যুও ঘটতে পারে।

স্রোতের অক্ষরে বাংলা ভাষা এগিয়ে আসছে। নিজস্বতা খুঁজে পাওয়া অজানা সেই স্রোতও এখন ডুবসাঁতার শেখেনি। তার একটা নোঙর দরকার। ঝাপটে ধরতে চায়। কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না শেষ চিঠিটা।

কখনও ভাবিনি মাঝগঙ্গায়, নিরবতা এসে গ্রাস করবে। হাওয়ার দাপটে আধাখ্যাপচা চুলে চিরুনি করে দেবে লজ্জায় দাঁড়ানো নৌকার পালগুলো। তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় আকাশ-গঙ্গার আয়নায়।

ব্রিজের ওপারে হঠাৎ দেখা। আসলে টেলিভিশন না থাকায় ও জানতে পারেনি। আজকে সকালেই কয়েকটা মন, যন্ত্রনায় ছটফট করে পাথর হয়েই নদীতে থেকে গেছে। ভেসে গেছে। মুক্তি পেয়েছে....



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন