সেই মেয়েটার আকাশ কালো চুল ছিলো,
সুবর্ণ তার রঙ ছিলো,
থমকে যাওয়া হাত ঘড়ির,
তুলির টানের শরীর,
বিজয় নামক হিন্দু ছেলে,
প্রথম দেখেই মন দিলো
সেই মেয়েটির ঘুম ভাঙানো ভিজে চুলে,
তার শরীরে লেপ্টে নেবে নির্ভুলে,
পাড়ি দেবে জীবনভর,
তার কঠিন দুটি চোখে,
ভিজবে নেশায় গোলাপী ঠোঁটে,
এ-টুকুই বিজয়ের স্বপ্ন ছিলো
"ওই মুসলিম মেয়ে যদি ঘরে ঢোকে তবে আমার মরা মুখ দেখবি |" বিজয়ের মা বলেদিলো
কারো কাছে তুলির টান,
কারো কাছে চাবুক গতর,
অশ্রাব্য বাসনায় পুষেছিলো ভেতর ভেতর,
পাড়ার কতক নেকড়ে গুলো,
একদিন যেই সুযোগ পেলো,
মাংস পেশী ছিঁড়ে নিলো
ছেঁড়া-ফাটা কাপড় আর ক্ষত ক্ষত দাগ,
পড়েছিলো রাস্তা-ধারে,
একবার নয় সেদিন মরন এলো বারেবারে,
গ্রামের মেয়ে
শুধুই দেখে চেয়ে,
কেমন হিংস্র রক্ত ঝরে যোনির ধার বেয়ে
যে মেয়েটির আকাশ ধরার সখ ছিলো,
সে কলঙ্কিত মেয়েকে গ্রামে রাখা যাবে না আর, তাই ধানবাদে চাচার কাছে পাঠিয়ে দিলো
চাচা বলে
"খানকি মাগি, হারামজাদি ছোকরা কটা বিনে-পয়সায় স্বাদ নিলো,
আমি কেনো বাদ যাবো !
উলঙ্গ হয়ে বোস কোলের ওপর,
পয়সা দিবো
( আজকের ঘটনা--কিছুক্ষন আগে )
এই মেয়েটির আকাশ কালো চুল,
কাজল ছাপায় নয়ন দু-কুল,
বলে "আয়-রে আমার এক রাতের নাগর,
ভয়-টি তোর আর কিসে ?
বিছানা ওসব ধর্ম কি বোঝে !
শুধুই খাদ্য বোঝে, খিদে বোঝে,
রাখবি আয় মোরে সেই বিষে ...