বিশ্বজিৎ দাস

বিশ্বজিৎ দাস
 এই বসন্তে 

১।

এই বসন্তে
ফিরতি বাসে খুব মন খারাপ হলে জানালারা খুশি হয়
প্রকাশ্যে প্রকৃতি মুখ ঢাকে, মাথার মধ্যে শর্টশার্কিট
চলতে থাকে! যেন এই ছিলাম কত কাছে...

বুঝেছি! ভাবছেন প্রেম, তা নয়
ছেড়ে যাওয়া হৃদপিণ্ড গুলিয়ে ওঠে
নোঙর তুললে স্রোত দ্বিগুণ ছোটে

একটি ইতিহাসের ভিতর লুপ্ত
কয়েকটি কথা রয়ে যায়, এই যে আপনাকে
অহরহ খোঁচা দেওয়ার জন্য : ঠিক করেছি

বিদায় নিয়ে?


২।

নিজের কাছ থেকে এভাবে কতবার দূরে গিয়ে
খোলস ভেঙে হাঁটু মুড়ে দেখেছি ঝোপঝাড়
অপুষ্টির মতো সম্পর্কের একাধিক শাখা মিলে মিশে আছে

আমিও সামিল হয়েছি ঘুমে
অসুখের ঘুম বড়ই প্রিয়!


৩।

আরাম শব্দটির বিপরীতে নিজেকে ডুবিয়ে কখনও
নীট অ্যাণ্ড ক্লীন ফল পাইনি, তাই কিছু আমার শত্রু
কিছু শব্দেরা আমাকে ধরে রাখে, বাক্য রচনার নিছক
অঙ্গীকার নিয়ে আসিনি আমি গাছেদের কাছে...

ব্লাডি! সভ্যবৃন্দের ডাকে ঘ্রাণ ছড়িয়ে দিয়েছি
নতুন সংস্করণে যেন ভুল না থাকে!


৪।

ওই বাসে এখনও চলেছি আমি
এখনও কিছুক্ষণ থাকতে হবে আমাকে

পাশের সিটে আপেলের ভরকেন্দ্র আমি প্রত্যক্ষ করে
কনডাক্টরকে মনে মনে বলি : শিকড় খোঁজেন,
আপনাকে আজ মিরর গ্লাস ভেঙে ফেলতে হবে

ওখানে আমাকে খুব নিষ্ঠুর দেখায়!


৫।

জানি এ আমি প্রকাশিত হলে
আপনারা বাসে চড়বেন না!

ট্রেনে চড়লেও নিজেকে বারবার দেখে
ভিখারিকে দুটি টাকা দিয়ে প্রার্থনা করতে বলবেন!

হকার এলেও চমকে যাবেন, পরের স্টপজে নামার জন্য
তাড়াহুড়ো করবেন,
কেননা আপনি ততক্ষণে বুঝে গেছেন

এই বসন্তে,
এতক্ষণ আপনার কথাই আপনাকে বলছিলাম!




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন