বিপ্লব পাল

বিপ্লব পাল
 দিগশূন্যপুরে গুগুল 

১।

কতটুকু দেবে, কতটুকু তার আরোগ্য
মুঠোভরে অবাধ্য ঢেউ, প্রবল তোলপাড়
একটি নদী
প্রজন্ম ফাঁক
রূপসা’র জলে নিখুঁত গমক
শীত এসে বসে জবুথবু
খুলে ফেলি তার অদৃশ্য ঘ্রাণ, গ্যালোপিং জলকথা
ডুব দিয়ে আনি স্পর্শ প্রকল্প, মিথুন নাভি
ভাসো লখিন্দর, ভাসাও সনাতন সম্মোহন, অযোনিমন

একটু দাঁড়াও। মৃত্যুকালীন শপথবাক্য পাঠের আগে


২।

আগল খুলে দাঁড়াও
দ্যোতক পরাগ মাখবো দু’জন
অবাধ্য এই শাপলা পুকুর জল
রূপসাগর, রূপসাগর
বাউলমন বুকভরা তোর
মোহিনী প্রজ্ঞায়

আগল খোলো একটি জীবন বরাত
একটি জীবন তোমার কাছেই জিরাত

৩।

তোমার যাবতীয় দৃশ্যগুলো আমাকে চিনিয়ে দেন ঈশ্বর
প্রগলভ দিগশূন্যপুরের পেলব গোপন আঁকিবুকি
কৌণিক বিন্দুতে দহনের প্রকৃত ক্ষত। সমান্তরাল যাপন
চুম্বনের আগে তুমি ক্লিক করে খুলে দাও রোমাঞ্চ কোলাজ
গুগুলের দৃশ্যগুলো আমি মিলিয়ে দেখি দেবীর নিশিত স্থপিত
থমকে দাঁড়াই, অতল নাভি থেকে কুঁড়িয়ে নেই সোহম
তুমি পঙক্তি ভরে নাও কবির ঘ্রাণ প্রত্যয় আলো
বিষাদ নির্জনে সেরে ফেলি প্রত্যাশার নানান আয়োজন
দেবীর আলোক স্তন ভরে ওঠে শানিত উজান

তোমাকে উতল নগ্ন দেখেছেন একজন পুরুষ ও ঈশ্বর


৪।

শীত পোহাতে পোহাতে রাত হল অনেক
আমি বৃক্ষ হয়ে যাই, পর্ণমোচী
সবুজ ইশারায় স্তব্ধ ট্রাফিক
শুষে নাও হরিৎ সাধনা
৭৩ মোর। ব্রহ্মাণ্ড ছায়া এসে পড়ে
হেঁটে বাড়ি ফিরে যাও নীলের গর্জনে


৫।

আমার সমস্ত স্পৃহা নিভীর্ক পৌঁছে যায় তোমার কাছে
অকারণে অনেক কথা জমে জমে প্রজন্ম ব্যবধান
অহেতুক পিছুটান ফেলে
নির্দ্বিধায় ঢুকে পড়ি
তোমার স্থপিত স্তনের ভেতর
কোন সংঘাত শর্ত নেই তোমাকে সন্ধানে
কোন গাণিতিক সূত্র নেই তোমাকে চুম্বনে
যাবতীয় ক্ষতচিহ্ন সহযাপনের স্থির সংহিত
তোমাকে বলার মতো আমি নিরক্ষর
সব কথা স্তূপের ভেতর
অমোঘ জরুরী সন্ধানে ভেঙে ফেলি নির্মিত নির্মান
এই নাও পর্যাপ্ত জলীয়আলোকবাতাস সালোকসংশ্লেষে


৬।

শূন্যের ওপর ঘুরপাক খেতে খেতে অসংযমী
দৃশ্যত ছুঁয়ে ফেলি তোমার অলৌকিক যাপন
আমার দৃষ্টিহীন শোকগুলো অহেতুক বেঁচে থাকে
তুমি সন্তর্পণে নদী হয়ে যাও
দিগশূন্যপুর গর্ভের ভেতর সমীচীন প্রসব
নিঃসংকোচ কাছে আসে
ভাসায় অমোঘ জন্ম
গুগুলের অপঠিত স্তনের আকর
রোজ আমি মৃত্যুর শপথ লিখি




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন