ছুঁয়ে যায় ছোঁড়া ফুলমালা
শাদা কালো সংসারী শাড়ি
নারীর সৌন্দর্য কী গভীর উচ্চারণ !
বিবর্ণ নীরবতায় চৈত্রের শেষ রোদ্দর
বৈশাখী আলোয় প্রথম ঝড়
মুচকি হাসির টলটলে পিপাসায়
যেন গ্লাসের জলে রাত,
চুমুকে চুমুকে ভোর
ভিতরে ভিতরে নিরগল
বাহিরে বাহিরে নির্মল;
শাদায় শাদায় সজনে ফুলে
যেন
ভেসে যায় অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত
এইসব উচ্চতর অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার আগে,
বেঁকে যাওয়া মানুষের স্নায়ু ছুঁয়ে,
জোব্বার গায়ে জড়িয়ে রাখ ধুতি
মঙ্গলময় পৃথিবীর মৃদু সুরে
মন্দিরের গায়ে খোদাই করো মসজিদ;
দু'চোখ ভরে দেখুক তা অলক রায়
তোমার খোদাইশিল্প ঈশ্বরকে কাঁদায় না হাসায় ।
তবু চাই
তবু চাই ব্যঞ্জনাময় বিষণ্নতার
কঠিন রূপ প্রত্যাখান করো তুমি
এক জোড়া উত্তপ্ত হাত ছড়িয়ে
আগুন ঘোরাতে ঘোরাতে
লিপির ডানদিকে করো চূড়ান্ত যাচাই
সমস্ত ক্ষোভ নিয়ে বলো, 'রাস্ট্র তুমি এখন সামলে নাও মুঠো মুঠো ছাই,
এইভাবে রাস্ট্র কখনো মনে রাখেনা
চেনেনা মৃতের মুখের জ্যান্ত হাসি
ডুবে যাওয়ার আগে
জলের আড়ালে জল কী করে কে জানে!
রাস্ট্র, তুমি কি জান সেই খবর?
জানার আগে জুতোর গ্রীপারে আটকে রেখো না দায়
দায়িত্ব এ তো নয় বিশ্রাম?
গা এলিয়ে প্রশিক্ষণ নয় ঘুম?
ঘুমের ভেতর যদি রেখে আসো ইতিহাস, মাটির তলায় বেড়ে যেতে পারে
তোমাকেও হত্যা করার গুপ্ত সন্ত্রাস।
ওরা কারা
ওরা ভীষণ কথা বলে
শোনার চেষ্টা করিনি এতকাল
থানায় থানায় একসেপ্ট হচ্ছে ওদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
নখের ধার কমে গেলে
পুলিশের হাতভাড়া নেয় ওদের রাত (রাত মানে এখানে গভীর ষড়যন্ত্র)।
ও পুলিশ, তোমরা নখ ট্যাগ করো না !
রাস্ট্র যদি শুয়ে পড়ে রাস্তায়
আমরা যাব কোথায়?
চারদিকে কেবল তোমাদের হামাগুড়ি আইন,
হাঁটতে শিখেছো কজন?
আমি জানি না
শুধু তোমাদের দরজার আইহোলে
উঁকি মেরে আমিও দেখেছি মৃত্যুর তদন্ত
তোমরা যে আজও স্পন্দন বোঝনা
এ কথা আরো আগেই বলেছিল তাহমিনা
এমনকি আমার মা -ও ।
আগে মা পাতা কুড়াতেন
গাছের পাতা খসে গেলেই
আমাদের পেটে পড়তো মুক্তি
না হলে মৃত্যুর মুখ
মৃতদেহের দিকে এক পা দু পা করে এগোলেই
তখনি জেগে উঠতো
তোমাদের দেশাত্ববোধ !
এখন আমরা ভাল আছি
তোমরা তেমন নও
চেটে নিচ্ছ আরো তাপ গলে যাচ্ছ আরো
মৃত্যুর রহস্য ঝুলিয়ে
ওদের দিচ্ছ মুক্তি
ওরা ভীষণ কথা বলে শোনার চেষ্টা করিনি এতকাল
ও পুলিশ, বলে দাওনা একবার ওরা কারা?
কেন এত উদাসীন রাস্ট্রের সরকার?
Tags:
একক কবিতা