অনুপম চ্যাটার্জী

দেওয়াল গুলি - রঙ্গোলী
এই যে অবস্থানবর্গের সমন্বয় , তার দুরাত্মা প্রয়াস কোন পথে নিয়ে যায় দেখা যাক । কেননা মাতৃত্বসুলভ মনস্ত্বত্ব ছাড়া আর কোন দূরত্ব প্রয়াস চোখে পড়ে না প্রগলভ । সীমারেখা রৈখিক নিয়মে যন্ত্রণাত্মক সস্তা তরোয়াল । পচা বাস্তব ধূর্ত স্বেচ্ছাচারে লগ্ন কণ্ঠের জয়গানে মুখরিত ভেড়ার দল । ভুক্তির পর্যায়ে আছে সব । যুক্তির পর্যায়ে জ্ঞানশূন্য ভাঁড়ার । চেতনার মূল্যবোধ থেকে বহুদূরে থাকেন সামাজিক । অবস্থানকে বিগত পর্যায়ে চালনা করে চলচ্ছক্তির ব্যক্তিগত সীমা ______ সীমানার মধ্যবর্তী সীমান্ত প্রযুক্তির প্রয়াসে ডুব মেরে আড়চোখে লজ্জার প্রতিবাদ ঢাকা রাখে যন্ত্রণায় মশগুল আসক্তিতে । যেদিকেই তাকাও দেখবে কারাগার-কারামুক্তি পৌনঃপুনিক । পুনরায় অবস্থান আর বিশ্রাম সমানুপাতিক মতামত লভ্য সভ্যের অন্তর্গত । গতির তাড়নাকে মন্ত্রনা দেয় যে সব ক্রিয়াকলাপ-অনুভূতিময়-জাগতিক-পার্শ্বচক্র তার সম্ভাবনায় লুকিয়ে থাকে আগামীর মানানসই উদ্বর্তন । আবহাওয়া এত গতিশীল যে ছিটকে গেলেই অবসাদ । টিকে থাকার লড়াই এখন ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বযুদ্ধ । আহ্বানে থাকে ট্র্যাজেডির ছিদ্র ... বলা যায় অজ্ঞানশীলতা । মূঢ় দার্শনিকতার ভাঁড়ার মাতৃত্বকে অবজ্ঞা করলেই সেই সব সৎ প্রদর্শন সন্ধিসূত্র মাৎস্যন্যায়কে টিটকিরি করে ; লবডঙ্কা দেখায় অন্বেষণ । যদিও সূত্রকে মূল্যবোধের পর্যায়ে উন্নীত করলে চেতনায় দেখা দেয় নতুন সুফল । তবু , সে সব সময় কথা চলতি গতির ভাঁড়ার ফুরিয়ে আসে । কেশবাস সন্দিগ্ধ হলে বন্ধনীর অবস্থা যেমন হয় তেমনই বাঞ্চালকে বস্তুবাদী করে তুলতে মুখরিত জয়গান স্বেচ্ছাচারে লগ্ন কণ্ঠের জয়গানকে চুম্বন করে গালে, রং ছেপে যায় দেওয়ালে দেওয়ালে ... 

রামধনু নয় , রংধনু হব , 
সব রং মেখে নিয়ে । 
কামধেনু নয় , সঙধনু হব , 
সব সঙ শিখে নিয়ে । 

বাকধনু নয় , আঁকধনু হব , 
সব বাঁকে বেঁকে গিয়ে ।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন