"রঙ ভাঙা ফাগুনে"
ওরা আমার ঘুম ভাঙাতে চেয়েছিল। শব্দ ভেঙে ভেঙে সাজাচ্ছিল মাথার পাশে।
ওরা আমার ঘুম ভাঙাতে চেয়েছিল। শব্দ ভেঙে ভেঙে সাজাচ্ছিল মাথার পাশে।
আর আমি গভীর ঘুমে লেপটে আছি পলাশের রং মেখে। টেবিলের কার্নিশ জুড়ে লাল নীল হলুদ বসন্ত ঝুলে।
স্নায়ুতন্ত্র জুড়ে তুমুল জোয়ার।
জানো, কে যেন বলে ছিল, "একটিও বসন্ত খেলবেনা তালুর সমতলে।"
স্নায়ুতন্ত্র জুড়ে তুমুল জোয়ার।
জানো, কে যেন বলে ছিল, "একটিও বসন্ত খেলবেনা তালুর সমতলে।"
অথচ দ্যাখ, প্রতিটা বসন্ত আমায় ছুঁয়ে, চোখ সাজিয়েছি রং ভেঙে ভেঙে।
বসন্তের দুপুরে আমিও রঙীন হই, কোকিল সুরে সোনাঝুরি মাখি, খোয়াই মাখি, লাল মাটি মাখি শান্তিনিকেতনের দুয়ারে।
প্রতিবাদের মিছিলেরা তখন অন্য প্রান্তে আগুন ভরছে বারুদে। দুটো সমান্তরাল রেখা যেমন কোনো দিন মেলে না ঠিক তেমনি পলাশ আর বারুদের প্যারালাল হেঁটে চলা।
পড়ন্ত বিকেল ছুঁয়ে যখন মেঘ কেমনের জানালা ভেসে ওঠে,
কিছু চিৎকার গুছিয়ে রাখি রং চটা দেওয়ালে।
পলাশ আগুন প্রতিবাদ হয়ে ঝরে নরম নিঃশ্বাসে ।
লালাভ আকাশ রক্ত চক্ষু বারুদের ঘ্রাণে।
জাগিও না, জাগিও না আমায়। আমায় ঘুমোতে দাও অর্নিবাণ হৃদয়ে। বারুদ হুঙ্কার ঝরে পরবে নির্নিমেষ পলকে...
কে যেন বলেছিল, "একটিও বসন্ত খেলবে না তালুর সমতলে...."
Tags:
গদ্য কবিতা