উদয় শংকর দুর্জয়

উদয় শংকর দুর্জয়
 পরাগ মাখা শাশ্বত বিকেল    

.....তবু
শীত ঝরা বিকেল গুলো অন্যরকম ছিল, বসন্ত আগমনী ভাব ছিল। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ায় পলাশ পরাগ - উড়তে উড়তে রাজপথ পেরিয়ে যেতে চাইলে - এক ঝাঁক শকুন শ্যেন দৃষ্টি ছড়ায়। বাতাসের শরীরে আটকে যায় তাপের দগ্ধ ছোঁয়া।

এখন ভোর হলে নিঃসঙ্কোচে বেরিয়ে পড়ে মুঠো ভরা ফুলেল শৈশব, মায়াবী ঘাসের রং মেখে হেঁটে যায় স্নাত শিশির। প্রভাত ফেরীর সুর গুঞ্জন আত্মার শ্রান্তি গুলো লিখে রাখে আরেকটি অধ্যায়ের সৃজনলিপি।

অধ্যায় পার হতে হতে পাণ্ডুলিপি খুঁড়ে বেরিয়ে পড়ে শাশ্বত ইতিবৃত্ত। মুঠোভরা সূর্যগুড়ো উড়ে যায় শ্রান্তির চূড়োয়। অবনত মনের দেয়াল সাদা বক ছড়িয়ে দিয়ে যায় প্রশান্তির হিমেল আলোছায়া।  



 অভিশপ্ত বুলেটের বারুদ পোড়া হৃদপিণ্ড 

এখানে পলাশের পরাগ মাখা স্মৃতির বর্ষণ অবিরাম
কোলাহল থমকে গ্যাছে, স্তব্ধ পাখি কলরব, অস্তমিত দীপ
দপ করে জ্বলে ওঠে, অভিশপ্ত বুলেটের বারুদ পোড়া হৃদপিণ্ড।

কার্জন এর দেয়ালে বোনা অক্ষরের গাঁথুনি, একাডেমী চত্বর জুড়ে
নির্ভুল বানান ইতিহাস, অপরাজেয় এর পাদদেশে রঙ শিল্পের
শেষ আঁচড়। সেই রণবাদ্যে এখনো ঘরের ফেরার বিজয় সুর বিতান।
শ্লোগানে শ্লোগান করিডোর থেকে আকাশ ফুড়ে মহাকাশে, তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে
ধাবমান রক্তে মুক্তির নিশান।

আমরা আসছি
প্রতিটি ফুলে থাকবে শ্রদ্ধার অমিয় শব্দ বুনন,প্রিয় আত্মিক সংলাপের প্রতি স্পর্শে
থাকবে রৌদ্রজ্জ্বল প্রগাঢ় বিশ্বাস, স্নাত স্মৃতির দূর্বাদলের শরীর চোষে
শপথের ব্যানারে লেখা থাকবে সঠিক দলিল পত্র। পলকে পলকে
থাকবে প্রতিশোধের রুমাল মোড়া অনল পাপড়ি।
কণ্ঠে ঝরবে দুর্নিবার বারুদের তপ্ত উপখ্যান।

আমরা আসছি
শুভ্রতা মাখা রূপোলী নগরের মিছিলে মিছিলে, ঐতিহ্যের নক্সা তোলা
লাল পেড়ে শাড়িতে, শোকের চিঠি বুক পকেট, কপালে রক্ত মাখা কাপড়,
অশুভ শক্তির বুকে কাঁটা তার আর শকুনের চোখে কালো পিচ ঢেলে
বীর দর্পে আমরা আছি।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন