তাসমিন আফরোজ

তাসমিন আফরোজ
 আমি এইখানে উড়ন্ত স্পাচুলা 

আমি এইখানে জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিলাম দ্বিধাদ্বন্দ্ব
এতো চাবুক ছাল তুলে রেখেছে নিলাজ নিরাভরান শরীর
আমি এইখানে রাত্রিমথে জোড় লেগেছি স্থাপত্যতে
ঘন অমাবস্যায় ফ্রেমের মাঝে আলোকিত হোক ফাটা চামড়া নিবিড়
আমি এইখানে পাথর মনে খোদাই করেছি অজন্তা খাজুরাহোর চিত্র
অরুপ রতনেও মুছে দিয়েছি নিষিদ্ধ শর্তাবলি
আমি এইখানে পাখির ডানায় উড়ন্ত স্পাচুলার মতো
ভোরের ঘরে সাদা মেঘের খোলে জমা রেখেছি স্তন সুদৃশ্য কাঁচুলি
আমি এইখানে নদীর সাথে বোঝাপড়া শেষ করে
তীব্র স্রোত পুড়ে রেখেছি দু'ঠোঁটের মাঝখানে
ঢেউয়ের ওপর ঢেউ তুলে পানশালা বসিয়েছি কোমরে
আমি এইখানে মত্ত বেশে সমুদ্র সফেনে আনন্দ তুলি নির্জন বালির অঙ্গে...........



 পরমান্ন সংস্রবে 

নাও তুলে দিলাম উথল বৃষ্টি সাংকেতিক চোখ 
যেমন তুমি বিভোর হও হলুদ সর্ষে ক্ষেতে
তুমিও কি বৃক্ষপুরাণ 
ডালপালা বিস্তারে 

নাকি তুমি অন্য নিবাস
ছায়ার তলায় ছড়িয়ে দাও ওমচূর্ণের শোক
আদ্যপান্ত লোপাট করে পেরুনো দিনে মাখো শরীয়ত 

এই যে আমি ইচ্ছে হলেই ঘাট রাখি খুলে 
সন্ধ্যা যখন বাণ ডাকে বিদ্যুৎ হিন অঞ্চলে 
লজ্জা কোঠা মেঘের থাকে তুলে রেখেছি 
দুর্ভিক্ষে ভাসছে যখন লোনাজলের রেকি 

তোমার এতো সত্যসিদ্ধতা সামলে দেয় অজুহাত
ভুখা নাঙ্গা মন আমার
বিস্তর ফারাকের গাছ পালাতে জড়িয়ে ধরে চন্দ্রাবতীর রাত ............



 মামুলি কথা 

১।

নিঃশ্বাস রেখে এসেছি বালিশের কোণে
ঘুম ভাঙা ভোর রেখে এসেছি আস্ত রাতের কাছে

হাঁটতে হবে রৌদ্রার্ত স্নানে দূরত্ব ধরে আছে জিজ্ঞাসা
পিছুটান রেখে দেয় স্বপ্নিল স্পর্শ অনন্ত প্রত্যাশা 

২।

এখনো জীবিত আছি মৌলিক বিশ্বাসে
অবাধারিত যানজট ঢেউয়ের আদরে

নিজেকে দেখতে চেয়েছি খোলা আকাশের প্রতিধ্বনিতে
তুমিও কেমন নিভৃতে চলাচল নিযুত স্বপনে

শাখা প্রশাখায় বাড়ে আলোস্নাতার ফেরিওয়ালা 
সাধারণ অবকাশে উড়ে শুকনো পাতা গোপনে

নিজের ভেতর থমকে আছে শূন্য একটা ঘর 
জল ভেঙে নাজেহাল প্রশ্ন প্রণেতার কণ্ঠস্বর





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন