তার অফিস ঘেরা দমবন্ধ জীবনে স্পর্ধার দীপশিখাটি কবিতা। তিনি মনে করেন কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড কবিতা কে আদিখ্যেতা মনে করে, মানুষ কে যন্ত্র আর তার যন্ত্রণা কে অনাবশ্যক ভেবে চলে। চোখে ঠুলি পরে কোন প্রশ্ন ছাড়া একটানা ঘানি টেনে যাওয়ার নাম ই বুঝি কর্পোরেট জব। তাই বুঝি মানুষ একটু নিরাপত্তা র জন্য গোটা জীবন টা লিখে দেয় যেখানে। ইচ্ছে সেখানে ব্রাত্য।
দীর্ঘ তেরো বছরের কর্পোরেট জীবন তাকে শিখিয়েছে কান্না চেপে খুশি ঝলমলে দেখাতে আর ভিতরে অসীম অবসাদে ডুবে যেতে, শিখিয়েছে আশেপাশের সব কিছু সম্পর্কে উদাসীন হয়ে যেতে। তোমার বন্ধু অসুস্থ, মুখ ঘুরিয়ে নাও, রাস্তায় কেউ পড়ে গেছে..ফিরে তাকিওনা, তোমার অনেক কাজ আছে। ছেলের জন্মদিন... তাতে কি? সবার ছেলের ই হয়। তোমার কাজ হল প্রায়োরিটি বুঝে কাজগুলো করা।
হাজার হাজার কর্পোরেট কর্মী র মত তারও জীবন চলে নিরন্তর অভিনয়ে। ভোটের রক্ত মাখা শহরেও যেমন বসন্ত আসে, ফুটপাথের সংসারে সুগন্ধ ছড়ায় ভোরের শিউলি, যেমন কোন একটা দিন রোজ মার খাওয়া লোকটা কাটারি নিয়ে তেড়ে আসে তেমনি এই তিনিও লিখে ফেলেন কবিতা, উচ্চারণ করেন তার হিরণ্ময়ী কণ্ঠে শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বার বার মঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে। চিৎকার করে তিনি ই বলতে পারেন ...বেঁচে আছি... মানুষের জন্য অনেক ভালো র লক্ষেই ...
একক মৌমিতা ২ ... ...
একক মৌমিতা ৩ ... ...
একক মৌমিতা ৪ ... ...
একক মৌমিতা ৫ ... ...
একক মৌমিতা ৬ ... ...
Tags:
অডিও / ভিডিও