সাত্যকি দত্ত

সাত্যকি দত্ত
 শিলাবতীর চরে 

তখনও শিলাবতীর চরে আলো নিরুদ্দেশ
দ্রষ্টব্য কিছু ছিল না -
কেবল স্পর্শ ছিল আর অনেক খানি ঘ্রাণ নেওয়ার ছিল
আমি তোমাকে স্পর্শে স্পর্শে ব্যাথা দিচ্ছিলাম -
তুমি বুকের জোড়া চাঁদকে ঢেকে রেখেছিলে -
স্পর্শকে জীবন্ত করার জন্য আমি যখন এলোপাথারি ঘ্রাণ নিচ্ছি-
বেপরোয়া টানে উন্মুক্ত করলাম জোড়া চাঁদ দুটিকে-
সে কি সমুদ্ধত ভঙ্গি তাদের !
জ্যোৎস্নামাখা উর্ণাজাল চরে ঝিক্ মিক্ করে উঠলো -
তুমি আর সইতে পারলে না -
আমার মাংস - হাড় ফুঁড়ে হৃদয় খামছে ধরলে ।

তারপর এক বিপন্ন বিস্ময়
তোমার রক্তের ভিতর খেলা করেছিলো -
তুমি আমাকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলে  -
একদিন শিলাবতীর জল হবে ধুকুড়িয়া পাখির চোখের মতো সবুজ
আমি বলেছিলাম , কবে কবে ?
তুমি উত্তর দিলে না , কেবল আমার মুখটা রেশমি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলে ।

তারপর - তারপর - তারপর অনেক অপরিমেয় যুগ গেছে কেটে ।

আজ আমি একা - তুমি বিদর্ভ নগরের রাস্তাঘাটে হারিয়ে গিয়েছো
আজ আমি একা - একা নই যেন আর , শিলাবতী যেন কামনার বস্তু ।

আমি চিৎকার করে বললাম , শিলাবতী তুমি সবুজ হবে ?
শিলাবতী কেবল রেবাবের নিশান উড়িয়ে দিল জলে
জল বাতাসে মিশে গেল - বাতাস সহস্র ধূলির সাথে সঙ্গম করলো
শিলাবতীর চর মেঘে মেঘে ভরে উঠলো -

তারপর -
আমায় পুরো ভিজিয়ে দিয়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো
সেই বৃষ্টি বাদল সঙ্গে নিয়ে শিলাবতী 'মিলিয়ে গেল খরস্রোতায়
মিলিয়ে গেল দূরে কোথায় ... দূরে... দূরে...'অ নে ক দূরে ' ...





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন