বিদিশা সরকার

বিদিশা সরকার
৩।
ফাঁকফোঁকরগুলো আসলে গোঁজামিল। চৌকসের মুখে দোকানদারের হাসি। এসবে অভ্যস্ত হতে হতে নিজের মানদণ্ড বিষয়ে সন্দেহ স্বাভাবিক।যাচাই করতে গিয়ে যদি ঈশ্বরই মিথ্যে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রমাণপত্র হাতে উভয়ত। ... হারিয়ে গেলে নসীবকে ,চুরি গেলে সন্দেহভাজনকে ক্ষমাই যদি শেষ কথা-- তবে হঠকারিতার দায় নেবে কে ? সন্ধ্যারতির আয়োজন করে তাঁর কাছে দাঁড়াতেই খসে পড়ল একটা একটা করে সব গয়না। যা তাঁরই দেওয়া। প্রসাধন মুছে দেওয়ার তদ্বির দেখে পরবর্তী আয়োজনের শঙ্কায় অনুরাগের পৃষ্ঠাগুলো ছিঁড়ে ফেলতেই আক্ষেপানুরাগ। এভাবেই একটা একটা করে বিক্রিয়ার দহনে পুড়ে গেছে সব সন,তারিখ। তাঁর আসা-যাওয়ার গোপনীয়তা সম্পর্কে একটা কথাও বলব না। আমি তাকে অবিশ্বাস করি বলেই হয়ত আমার প্রতি তাঁর বিশ্বাস ক্রমবর্ধমান । 


৪।

বরাদ্দের বাইরে আসক্তির আহ্লাদ ভেট পাঠিয়েছিল, লজ্জাবস্ত্রের সঙ্কুলান সমর্পণের অজুহাত ছাড়া কিছু নয়। স্থায়ী- অন্তরার আপোষ রেশ ধরে রেখেছিল মধ্যযাম অবধি। মহিমা কি সহজে ধরা দেয়।অন্তর্দৃষ্টির পরখ অভুক্তের দিন গণনায় বসে। তোমার অভয় আমার সঞ্চয়ে মধুক্ষরা। পরাগধানীতে শিশিরবিন্দু আর রুদ্রাক্ষে এক আকাশ সমাজচেতনা। তোমার অবস্থানের এক ধাপ নীচে বসে সুজাতা-প্রত্যয় ! অসার বোধের পরিবেদনায় তোমার দিব্যদৃষ্টি দোয়াত উপুড় করে নীল ফতোয়ায়। পাহাড় ডাকলে তুমি বার বার ফিরে যাও শীতের শহরে , উপেক্ষায় অপ্রস্তুত নই। 


 ৫।

ঈশ্বর আপনি অপেক্ষা করছিলেন, যেমন লাস্ট লোক্যাল ট্রেনের জন্য কর্মজীবী, ধর্মজীবীরা। আমি প্রবেশ করতেই গাত্রোত্থান। বিষয়টা দায়সারা অনুমান করেই দেরিতে আসা। আপনার চর্যায় সন্ন্যাস, আর এই অধমের ... ঐহিকে। 

সারা পাড়া জুড়ে মিষ্টান্নের ঘ্রাণ। গোপন করিনি আপনার বোধিলাভের সুপ্ত ইচ্ছা। কামিনী আতপের বীজ ধান। দুগ্ধ সরবরাহের উৎসমুখে এক চণ্ডাল শাসন করছিল উপর্যুপরি সরবরাহের চাবুকে। ঘনত্বের অপেক্ষায় আপনার অধৈর্যের চোখ থেকে ঠিকরে পড়ছিল অভিসম্পাতের লক্ষণগুলি। উপসংহারে একটা লঙ্গর লাগিয়ে ফিরে যাওয়ার পথে একবার পিছন ফিরেছিলেন। অর্থাৎ প্রত্যয়ে অভ্যাস। বীজ রোপণের দিনক্ষন গর্ভে মাটি ফেলছে, জৈবসার। ক্রমশঃ উর্বরতা অনুমান করে ফিরে যাচ্ছি আঁতুড় ঘরে।


১ম পর্ব ঈশ্বরের সঙ্গে প্রেম


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন