অনু সোম সঞ্জনা ঘোষ

অনু সোম সঞ্জনা ঘোষ
 হৃদ, 

তোমার হেঁটে চলাগুলো বুঝে নিতে নিতে কবে যেন পথ হারিয়েছি অন্ধকারে। গভীর নীরবতায় ভিজে আমিও কেমন কাঠ হয়েছি হৃদ। অথচ আমিও একদিন ভিজতে চেয়েছিলাম প্রবল বৃষ্টি ধারায়। সমস্ত রক্তের দাগ ধুয়ে পৃথিবী আঁকতে চেয়েছিলাম তোমার বুকে। 

হৃদ, পাতারা জানে না অন্ধকারের ইতিহাস। জানে না বেঁচে থাকার শর্ত। কিম্বা পূর্বাভাসে জমে থাকা ঝড়ের চোখ। বাষ্পেরা উদ্বাস্তু হলে আমি স্বার্থপরের মত তোমায় জড়িয়ে নিয়েছিলাম কাজলে। তোমার শাখা প্রশাখায় ভিজে অরণ্য লিখছিলাম পাতাদের ভিড়ে। তরঙ্গ থেকে তুলে নিচ্ছিলাম সুর। নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস জড়িয়ে বয়ে চলা স্রোতে আরও কঠিন হচ্ছিলে তুমি। সমস্ত স্নায়ু বাঁপাশে জড়ো হলে হৃদ তুমি ছবি হয়ে ওঠো আর কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়ে আমার বেঁচে থাকা।

শেষ বসন্তে যে অরণ্য উপহার দিয়েছিলে আমায় আমি তাতে জলের স্পর্শ খুঁজেছি নিরন্তর। প্রবল ভাবে ডুবে যাওয়ার নেশায় শিকড়ে জড়িয়ে ফেলেছি নিজেকে। দ্যাখো, কি ভীষণ উত্তাপে গলছে বরফ। মোম স্রোতে ভেসে ভেসে আমিও কেমন অরণ্য খুঁজে চলেছি, তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে সালোকসংশ্লেষ আঁকবো বলে। 

যে অরণ্য আমায় বেঁচে থাকা শেখায় তুমি আমার সেই অরণ্য হবে হৃদ?





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন