শুক্লা মালাকার

 শুক্লা মালাকার একবার প্রাণখুলে হাসতে চাই জীবন- 

নিজেকে গুটিয়ে রাখতে রাখতে
স্বপ্নেরা জামা খুলে রাখে হাইরাইজে-
একথা কতযুগ আগে বলেছিল কেউ
কে বলেছিল? আজ মনে নেই
প্রেম থেকে অভিমান, অভিমান থেকে দূরত্ত্বে জাড়িত হতে হতে
বোতলবন্দী রঙিন স্পঞ্জবল – ‘কিছু না’ হয়ে আছি।

টিভিতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হলে
শব্দগুলো বড়ো চেনা মনে হয়
মাথার পোকারা নড়েচড়ে এঁকে রেখে যায়
চাহিদা যোগানের গ্রাফ- অমনি
পাটুলির ঝিল থেকে একঝাঁক হাওয়া এসে ভিজিয়ে যায় মন,
আমি মন নামিয়ে রাখি কাঁচের টেবিলে,
শরীর ডুবে যাওয়া সোফায়, মডিউলার কিচেনে।

সকলেরই গন্তব্য থাকে, কিছু গন্তব্য কলকাতার রাস্তায়
পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি উষ্ণতায় পুড়ে যায়
বাকিরা পৌঁছে যায় নিরুদ্বেগে
গ্যাস বেলুন হতে হতে বাহবা কুড়োয়
পুড়ে যাওয়ারা ছাই পেতে রাখে বিছানায়, কার্পেটে।

যারা এসেছিল তারা কারা?
আমার  কেউ তো নয়!
এই পাঁচতারা হসপিটালের কাঁচের জানালার বাইরে
মেঘেদের ছায়াশরীর, বব ডিলানের আধভাঙা গান হয়ে
ভেসে চলেছে নক্ষত্রপাড়ার দিকে
একটু পরে, মাঝরাতে, শত শত শূন্য স্তর পেরিয়ে
পরীরা জেগে উঠবে জানালায়
আমি কচিমেয়েটি হয়ে ম্যাজিক ওয়াণ্ড ঘোরাব।

পরীদের সাথে মহাশূন্যে উড়ে যাবার আগে
একবার প্রাণখুলে হাসতে চাই জীবন-

                         

 ভালোবাসার গল্প   

উজল চোখের হাসি
বলছে ভালোবাসি

ভালোইবাসো যদি
হতেই পারি নদী

নদীর জলের ধারা
দেখে আকাশ তারা

তারার ঘরের কাছে
চুপটি শুয়ে আছে

সবুজ সবুজ মন
গভীর গহীন বন    

বনের পথে চলি
কেমন করে বলি

ও মেয়ে তুই শোন্
যেন খুঁজিস নারে কোন

কোনের কাছাকাছি
খেলবি কানামাছি?

কানামাছির ঘোর
কাটবে যেদিন তোর

স্বপন ছেঁড়া ক্ষন
আর, মুঠোয় ধরা ফোন

ফোন বাসরের কথা
জ্বালবে নিরবতা

নিরব কোথায় পাবি
চাঁদ কুড়োতে যাবি?

চাঁদ কুড়োনো রাত
গভীর অবসাদ

অবসাদের বেলায়
ভালোবাসার খেলায়

পুড়লি পোড়ারমুখী
তখন কালবোশেখি।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

নবীনতর পূর্বতন