হ্যাঁ মন ভালো হয়। তারমানে মন খারাপ নিয়েই আমার ঘুম ভাঙ্গে। মন খারাপের নানাবিধ কারন। ঘুম ভাঙ্গার পর খুব চায়ের পিপাসা পায়। চায়ের তেষ্টা মেটাতে সোজা কিচেনে চলে যাই। আমার চা বানানো টাও অন্য রকম। হাড়িতে পানি গরম করে তার ভেতর চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে ছাকনি দিয়ে ছেকে নেওয়া তেমন করে আমি আবার চা পান করি না। চায়ের জন্য আমি খুব সহজ পন্থা বেছে নিয়েছি। ইলেকট্রিক কেটলিতে পানি ফুটে উঠার পর এক ধরনের বিশেষ ধরনের ছাকনি পাওয়া যায় যেটা কাচের কেটলির ভেতর থাকে (এটা সাধারনত চীন দেশের মানুষ কে আমি ব্যবিহার করতে দেখেছি। তাদের কাছ থেকেই শেখা), ছাকনিতে চা পাতা দিয়ে ফুটন্ত পানি ঢেলে দেই। চায়ের গাড় সতেজ লিকার বের হয়ে অসাধারন গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চায়ের তৃষ্ণা আরও পেয়ে বসে। রাতের নিস্তব্ধতায় ইলেক্ট্রিক কেটলিতে ফুটন্ত এই পানির গুড় গুড় শব্দটাও কেমন যেন অন্যরকম ভাল লাগে।
তাকে ভেবে মন খারাপ হয়, অনেক রাত নির্ঘুম কাটে। কিন্তু যখন বুঝতে পারি সেও নিজেকে একাকীত্বের শৃঙ্খলে বেঁধে নিয়েছে তখন সুক্ষ মমত্ব বোধ মনের গভিরে জেগে উঠে । মায়াটা বড় অদ্ভুত একটা জিনিস, চাইলেই কাটিয়ে ওঠা যায়না, এর রেশ ঠিকই থেকে যায়। যাই হোক আজকে এতো সব কথা কেন ভাবছি ? একবার একটা মানুষকে চিনলে তাকে তো ভুলে যাওয়া সম্ভব না ... হটাৎ বুকের ভেতর কেঁপে উঠে অর্ণব এর জন্য ...
ক্রমশ -