"মরিতে চাহিনা আমি "
সাদা সাদা কুয়াশা সকাল আদুল পায়ে আমার সবুজ লনের ধারে দেবদারু গাছের গোড়ায় এসে বসে থাকে রোজ, ব্যালকনিতে মিঠে রোদ থমকে থাকে কফি মগে। দূরে কোথাও লাবণ্য হেঁটে যায় আইভি লতার পথে বিষণ্ণ আলপনা পায়ে। শিলংয়ের পাহাড়ি বাঁকে পাইনের ঘন শ্বাসে জমে মেঘ শুধু মেঘ।
রোজ শুধু তুঁতফল গাছে রেশমী গুটিপোকার মতো নীরবে ডুবে যাওয়া আর ভেসে ওঠার যাপন। আর হেমলকের তীব্রতা ও অযুত সংখ্যক অমিত-লাবণ্য। ওই বৃষ্টিগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করতে পারিনা, ইচ্ছে হয় শৈলপ্রপাতের শহরে আরও কিছুক্ষণ লীন হয়ে থাকুক ঝুঁকে পড়া আকাশচারী ঠোঁটদুটোর যৌথ অভিমান।
ক্যাম্পফায়ারের নীল আগুনে জ্বলে যায় আদুরে উলের স্কার্ফ।
জেব্রা ক্রসিংয়ে আটকে থাকে জানুয়ারীর বেগুনি শৈত্যপ্রবাহ।
রাত বেড়ে চলে শহরে, অমিতের শূন্য বিছানায়, লাবণ্যের পিয়ানোর রিডে। কারা যেন কোরাস গাইছে অসময়ে।
সমস্ত পাহাড় জুড়ে ফুলকারি কুয়াশা।
একটা মোহর-সকাল সোহাগী সেতারের ঝংকার পাঠালো সমতলের গ্রাম থেকে। দূর থেকে আমি তুলছি সোনালি ফসল।
একটা পাখি, দুপাশে রূপোলী ডানার বিনুনি মেলে একটাই গান করে চলছে। আমি তার ঠোঁটে সোহিনীর সুর ভরে দিলাম।
এখনও মনে হয়, একেকটা অম্লান ক্ষণ জোছনার মতো আসে পৃথিবীতে, কতো কতো ভালোবাসার দাগ লেগে থাকে শ্যাওলা -রঙা ছবি হয়ে ঘরের চারদেয়ালের অন্তরে। চাইনা পাখীডাক মুছে যাক কোনও দিন জীবনের শেষদিনে। এখন আমারও আবার বর্ণপরিচয়ে বাঁচতে ইচ্ছে হয় শিশুদের মতো।
Tags:
গদ্য কবিতা