পরিচয় ফেসবুকে। মুগ্ধ হয়েছি বারবার তার প্রতিটি পেন্সিল স্কেচে ,পোট্রেট ছবিতে। দেখা করার কথা ছিল বইমেলায় কিন্তু খুঁজতে খুঁজতে যখন সে পৌঁছল আমি তখন বাড়ির পথে। আজ বললাম -- কি কাজ বাকী ? চলে এসো দিদির টানে। সেও এসে হাজির, আর আমি অবাক!
ক্ষুদে শিল্পী জানতাম তাই বলে এতো ছোট ! মাত্র ক্লাস ইলেভেন এ পড়ে । নাম যুগল সরকার । বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা শহর বালুরঘাটের কাছে এক গ্রামে । বাবার জমিজমা আছে । ছেলে আঁকায় মগ্ন । দিনে পাঁচ, ছ ঘণ্টা শুধু আঁকে । নাওয়া খাওয়া মনে থাকে না ।মার কাছে বকুনি খায় ।
শিল্পীর কাছে জানলাম সে পোট্রেট আঁকতে ভালবাসে বেশি । মোবাইলে ছবি তুলে রাখে আর পড়ার ফাঁকে ফাঁকে আঁকে । গঙ্গার ধারে নিয়ে গিয়েছিলাম, সেখানে সে দূরে নৌকো ভাসছে, পরিযায়ী পাখী উড়ছে -- সেই সব ছবি তুলে রাখল তারপর বাড়ি গিয়ে কোন একসময় আঁকবে ।
কবিতা ভালবাসে খুব, নিজেও একটু লেখে । আজ সকাল থেকে দুপুর পেরিয়ে গেল -- অজস্র ছবি দেখলাম । আমার জন্য সে যে উপহার এনেছে খুব দামী আমার কাছে । আজ শিল্পীর সেই অসাধারণ ছবিগুলো সবার জন্য পাঠালাম ।
দিদির হাতের রান্না ভাত খেয়ে সে রওনা দিল বাড়ির উদ্দেশ্যে । আবার আসবে, আরও বড় হবে। আকাদেমি অফ ফাইন আর্টস -এ পড়বে । অনেক শুভেচ্ছা , ভালবাসা আর আশীর্বাদ শিল্পীর জন্য । সে কোনদিন আঁকা শেখেনি । সব প্রতিভাই সহজাত । শিল্পী কবি এভাবেই জন্ম নেয় তুলিতে কলমে রেখে যায় জীবনের জলছবি ।
![]() |
যুগল সরকারের আঁকা |