অবচেতনে যা ফুটে ওঠে
নোনা বালি, হারিয়ে যাওয়ার পরে
সমস্ত সকাল ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়...
যে সকাল রাত্রি উপেক্ষা করতে পেরেছিল
সে উপেক্ষার অবশেষে উজ্জ্বল দু’চোখ
সীমানা পেরিয়ে যাতে পেরেছিল শীতের
শেষে যা হাতে পাওয়া যেত ঝরে যাওয়া আশা...
শেষ বলে অবশেষে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে
হেঁটে যাওয়া যায় বহু গভীরে
সীমানার গভীরতা জানালায় লেগে থাকা চোখ জানে
জানে, পৃথিবীর কোলাহল মুছে দেওয়ার প্রয়াস
নির্যাস লিখে রাখা ঠোঁট জানে, গহ্বর
এই গহ্বর ফিরে আসে প্রতি জন্মে
যে কিনা আঁকড়ে রাখতে চায়
কেড়ে নিতে চেয়ে দেয় মিলিয়ে
মিলিয়ে যাওয়ার পরেও
নোঙর বিঁধে থাকে,
যে কিনা ছুঁতে চেয়েছে আকাশ
সীমানায় নোঙর, প্রেমের, ভালবাসার
আদতে মায়ার নোঙর ...
ফিরে যাবে জন্মে
সে জন্মের পর তীব্র চিৎকার
মুঠিতে বেঁধে রাখা নীল
মিলিয়ে যায় সময়ে...
ধীরে ধীরে বাঁধন আলগা
হাল্কা হয়ে আসা ভার
বুক জুড়ে পৃথিবীর
খুঁটে খায় সভ্যতা
যেভাবে বৃষ্টি খুঁটে খায়
মাটির নাব্যতা...
Tags:
কবিতা