এতৎ বিষয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল –
১।
আকাশের গায়ে ঝুলে আছে অষ্টমীর চাঁদ। যে কোনো দিকেই ওর পূর্ণতা জমতে পারে। আলো কিংবা অন্ধকারে। আমি গান গেয়ে যাই অনেক দিনের হারানো সুরে। বুকের ভিতর একটা প্রত্যাশা নিজের অঙ্গবিন্যাস নিয়ে সেজেছে একা একা। এখনও ওকে বলার সুযোগ হয়নি আমার সাথে পথ চললে জটিল আত্মশুদ্ধির মন্ত্র ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না। চাঁদের গায়ে এসে লাগে কলঙ্কিনী বদনাম। আমি ওর ঔজ্জ্বল্যের স্তন্যে মহাজ্ঞান খুঁজে পাই। বুকের উপর হাত রেখে বলতে চাই, সামাজিক সমাসবদ্ধ জীবনে বহু ব্যাসবাক্য দ্বন্দ্ব সমাসের জন্ম দিলেও কিছু ক্ষেত্রে অব্যয়ীভাব সমাসের জন্ম হওয়ার মধ্যে কোনো বিস্ময়চিহ্ন নেই...
২।
নীল রঙে এঁকে নিচ্ছি আমার ভালোবাসার ইচ্ছেগুলো। পদাবলীর প্রেমানুসঙ্গে ভেসে যাচ্ছে আমাদের অন্য ক্যাম্পাস। যাদবপুর ইউনিভার্সিটির মাঠে দাঁড়িয়ে শিখছি একটা ভালো সন্ধ্যা। জটিল আবর্তে ঘুরে বেড়াচ্ছি। শিখছি অন্য জটিল পাঠ। শিখছি, গবেষণার কাজে প্রতি পদক্ষেপেই একটা মানসিক প্রস্তুতি থাকা জরুরী। ছুরি সবসময় সামনে থেকেই আসবে এমন কোনো যুদ্ধকৌশল আকাদেমিক নিয়মাবলিতে লেখা নেই। আমি ক্রমশ ছায়াচিত্র হয়ে যাচ্ছি। দশদিক থেকে নেমে আসছে আততায়ীর অস্ত্র...
৩।
হে মহাবিষাদ, আমায় গ্রাস করো। আমার জীবনের প্রাণস্পন্দনগুলি একটু একটু করে গ্রহণ করো। সহযাত্রীদের দ্বিচারীত্ব দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। স্বপ্ন দিনের ভোরের গন্ধ ক্রমশ ম্লান হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। আমার ভালোবাসার রঙে আবির সাজাতে চেয়ে বারবার দেবতার পাদপিঠে। আমার আত্মিক আবির যাপনের সমস্ত যুগ্মভাষ্য ফ্যাকাশে হয়ে গেছে অজানা অতৃপ্তি মেখে। আমি পুরাধুনিক পাঠের আমন্ত্রণ পাওয়ার প্রত্যাশা রাখি না আর। আমার শুদ্ধাচারের নামাবলীতে অঙ্গারবিলাস শুরু হয়ে গেছে...
৪।
তোমার পদবিন্যাসের ছন্দে সেজে ওঠে ভারতীয় উপমহাদেশের দর্শন চিন্তা। আমি তোমার সেই আজানুলম্বিত উদাত্ত পরমের প্রত্যাশায় অধ্যাত্ম চিন্তায় মগ্ন হয়ে বসি সিদ্ধাসনে। আত্মশুদ্ধির মন্ত্রে জেগে ওঠে পদ্মচক্র। আদিতমা ষড়ৈশ্বর্যময়ী মহামায়া মায়া বিস্তার করতে থাকেন। পথ প্রদর্শিত হয়ে ওঠে গুরুপন্থায়। আত্মিক অনুভবগম্যতায় আস্থাশীল হতে শিখি। নবীন অজ্ঞানহীন জীবনের পাঠ। আমি ভালোবাসতে ভালোবাসতে পাথেয়দের বুকে চুমুশব্দ আঁকি। আমার অবচেতনে আঁকি-বুঁকির মধ্যে দিয়ে জেগে ওঠে বিজয়কেতনের উচ্ছ্বাস। আমি চেয়ে চেয়ে দেখি...
Tags:
একক কবিতা