সোনালি মুখার্জী

এ শহর ও যৌনতা








সে দিন এক পেয়ার মানুষ চেম্বারে এল। অত্যাধুনিক। সাজে গোজে পাশ্চাত্যরীতি। একেবারে গ্লোবাল সিটিজেন যাকে বলে। ভিতরটা ততটা আধুনিক নয় যতটা বুঝলাম কথা শুরু করে।

মেয়েটির বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি। অপরদিকে ছেলেটির স্মার্টনেস আর আগ্রহ দুটোই বেশি। তবে বেশিভাগ ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন এ ভাবেই কাজ করে। আমায় কাউন্সেলর মানতে এসেছে। খুব সপ্রতিভ ভাবে বলল, এই অযথা যৌনতা সম্পর্কে ভয় কি ভাবে কাটানো উচিৎ একটু যদি হেল্প করেন।

আমি পরীক্ষা করে, বায়োলজি পড়িয়ে, কন্যের ভয় কাটিয়ে দিলাম।

স্বাগতিক উচ্ছাসে হিরো বলে উঠল, তবে তো আর কোন সমস্যা নেই, থ্যাংকস। বাই দা ওয়ে, ও যখন ইউজড টু হয়েই যাবে, তারপর যদি মিউচুয়াল পার্টনার এক্সচেঞ্জ করি, কোন সমস্যা নেই তো?

মস্তকটা গরম হয়ে গেল। কিন্তু চটলে হেরে যাওয়া হয়। এক মিনিট দম নিয়ে, খুব হাসি মুখে বললাম, কোন সমস্যা নেই যদি দুজনেরই সহমত থাকে। এদিকে পাশে বসা মেয়েটা ক্রমশ ফ্যাকাসে হচ্ছিল।

একটু থেমে বললাম, তবে মাথায় রেখো, মানুষের ভিতরে কিন্তু ইরেজার নেই। অন্য পার্টনার যদি তোমার চেয়ে বেটার পারফর্ম করে, শি উইল কম্পেয়ার এভরি টাইম, আর তুমি বাদের খাতায় চলেও যেতে পারো। এবার হিরোর ভ্যাবাচেকা খাবার পালা। সব স্মার্টনেস উড়ে গিয়ে চার বার ঢোক গিলে বলল, না না ... তা হলে নিজের পার্টনার এর প্রতি লয়াল থাকাটাই হেলদি বলুন।

মেয়েটি এবার মুচকি হাসিতে ফিরে এসেছে। ওর সঙ্গে একটু চোখাচোখি করে হেসে নিয়ে, গম্ভীর হয়ে হিরোর দিকে ফিরলাম। বললাম, হ্যাঁ সেটাই সবচেয়ে ভাল থাকার উপায়, মনে রেখো।





Previous Post Next Post